স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, র্যাবের মহাপরিদর্শক ও রমনা থানার ওসিকে সোমবার দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ।
একইসঙ্গে ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চাওয়া হয় নোটিসে।
এতে বলা হয়, এই এলাকার পাশে মন্ত্রীপাড়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা থাকলেও পাশেই নিরাপত্তাহীন, যা বৈষম্যমূলক। এই নিরাপত্তাহীনতার সুযোগে এখানে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলছে।
ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, নোটিস পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে হাই কোর্টে এ বিষয়ে রিট করা হবে।
গত বুধবার দুপুরে ফুটওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় এক যুবক রিশার পেটে ও হাতে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। তিন দিন পর রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
১৪ বছর বয়সী রিশা উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ‘বি’ শাখায় পড়ত। তিন ভাই, তিন বোনের মধ্যে রিশা চতুর্থ ছিল। তার বাবা রমজান হোসেন কেবল অপারেটের।
রিশার মা তানিয়া বেগমের বরাত দিয়ে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানিয়েছিলেন, কয়েক মাস আগে ইস্টার্ন মল্লিকার বৈশাখী টেইলার্সে একটি জামা বানাতে দিয়েছিলেন তিনি। যোগাযোগের জন্য সেখানে তিনি নিজের ফোন নম্বর দেন।
“এর পর থেকে ওই দোকানের কর্মচারী ওবায়দুল খান ফোন করে রিশাকে বিরক্ত করত। এ কারণে রিশার মা ওই মোবাইল সিমটি বন্ধ করে দেন। তার ধারণা, ওবায়েদই রিশাকে ছুরি মেরেছে।”
বুধবার ওবায়েদকে আসামি করে রমনা থানায় মামলা করেছেন তানিয়া বেগম।
তবে ওবায়েদ দুই মাস আগে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন বলে পুলিশ জানতে পারে।
পুলিশ বৈশাখী টেইলার্সের চার কর্মচারীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও ওবায়েদকে এখনো আটক করতে পারেনি।