প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
অপর দুইজন হলেন অগ্রণী ব্যাংকের উপ মহাব্যবস্থাপক আখতারুল আলম ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিউল্লাহ।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং তিন সাবেক সম্পাদক মাহবুব আলী, এএম আমিন উদ্দিন ও শ ম রেজাউল করিম।
দুদকের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক সৈয়দ মামুন মাহবুব।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গত ৪ অগাস্ট বিচারিক আদালতে জামিন পান মিজান। পরে অন্য দুজনও জামিন পান।
“এর বিরুদ্ধে দুদক হাই কোর্টে আসলে সেখানে জামিন বহাল থাকে। সেইসঙ্গে আসামিদের পাসপোর্ট বিচারিক আদালতে জমা দিতে এবং আদালতের আদেশ ছাড়া দেশত্যাগ না করার নির্দেশ দেয়। জামিন বহালের আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে গেলে আদালত তা খারিজ করে দেয়।”
মিথ্যা তথ্যে মুন গ্রুপকে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার অভিযোগে গত ৩০ জুন মামলাটি করে দুদক।
মামলায় বলা হয়, রাজধানীর কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৫৫৫ নম্বর প্লটে মুন গ্রুপের মালিক মিজানুর রহমানের বৈধ মালিকানা ছিল না। এছাড়া রাজউক অনুমোদিত বৈধ নকশা ছাড়াই বিতর্কিত ওই জমিতে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ‘অস্বাভাবিক’ নির্মাণ ব্যয় ও আয় দেখিয়ে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মুন গ্রুপকে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
মঞ্জুর হওয়া ঋণ থেকে পর্যায়ক্রমে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে নিয়ে ব্যাংক তথা রাষ্ট্রের ওই পরিমাণ অর্থ আসামিরা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।