ফলে আফতাব বহুমুখী ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রহিম খান শাহরিয়ারের এই ছেলেকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ গত ১ জুলাই রাত থেকে হলি আর্টিজান বেকারিতে ছিলেন, যেখানে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন।
পরদিন উদ্ধারের পর ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তাহমিদকে। তারপর থেকে তার খোঁজ মিলছিল না। তবে পরিবারের সন্দেহ ছিল, পুলিশের কাছেই রয়েছে তাদের সন্তান।
এরপর গত ২ অগাস্ট বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাহমিদকে গ্রেপ্তারের দাবি করে পুলিশ। ওই দিন তাহমিদের সঙ্গেই উদ্ধার পাওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকেও গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়।
তাদের দুজনকে প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে হাসনাতকে গুলশান হামলার ঘটনায় করা সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কিন্তু তাহমিদকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে ৫৪ ধারার মামলায়ই ফের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর পাঠিয়ে দেওয়া হয় আদালতে।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসানের আদালতে তাহমিদের আইনজীবী মো. মাসুদ আরিফ ভূইয়া হানিফ জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে হাকিম সে আবেদন নাকচ করে দেন বলে ওই আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রনপ কুমার ভক্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।