অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে গত বুধবার অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
ওই বৈঠকে উপস্থিত কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য শনিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি 'রং নম্বর' বলে ফোন কেটে দেন।
জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘর থেকে ওই পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্র সরিয়ে ফেলার প্রস্তাব করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। সে সময় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সরকারের এই সিদ্ধান্তের কঠোর প্রতিবাদ করেন।
জিয়াউর রহমানের পুরস্কার প্রত্যাহারে মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। সরকার প্রধানের অনুমোদনের পর এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
গত ২৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক নথিতে বলা হয় যে, জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আরোহণের বিষয়টি উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছেন। স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। তাই এই পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচনকালে দেশ ও মানুষের কল্যাণে অসাধারণ অবদান রেখেছেন এমন সীমিত সংখ্যক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেই বিবেচনা করা হবে।