জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব জন্মাষ্টমীর কেন্দ্রীয় শোভাযাত্রার উদ্বোধনীতে একথা বলেন তিনি।
শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল বলেন, “সাম্প্রদায়িক শক্তি আমাদের সন্ন্যাসী হত্যা থেকে শুরু করে শোলাকিয়ার ঈদ জামাতেও হামলা চালায়। তাদের কোনো ধর্ম নাই। তাদের বিরুদ্ধে আমরা সকল ধর্মের লোকই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।”
মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ মূল্যবোধগতভাবে অসাম্প্রদায়িক দেশ হলেও সেটাকে নস্যাৎ করার কাজ অনেক সময় ধরে চলেছিল।
সেই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। তার নেতৃত্বেই আমাদের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। যে অসাম্প্রদায়িক মূল নীতির ওপর বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, “যারা রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত হয়েছেন তাদের বলব, সেখান থেকে ফিরে এসে রাজনীতি ও অর্থনীতির মূলধারায় ফিরে আসুন। প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’, আজকের এই জন্মাষ্টমীর আয়োজনে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতিতে তার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে।”
পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেন, “হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সকলের এই বাংলাদেশ। হাজার বছর ধরে এটা প্রমাণ হয়েছে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক দেশ এটা। মাঝেমধ্যে কিছু লোক সেই সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে চায়। কিন্তু জনগণ সব সময় সেটাকে প্রতিহত করে দিয়েছে।”
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়া শোভাযাত্রায় অংশ নেন নানা সাজের হাজারো মানুষ। নেচে-গেয়ে কৃষ্ণের জন্মদিন উদযাপন করেন তারা। কয়েকশ ট্রাকের বহরের পাশাপাশি পায়ে হেঁটে ঢোলের বাদ্য আর গানের তালে এগিয়ে চলে শোভাযাত্রা।
বাংলাদেশ সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পলাশী থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, হাই কোর্ট, বঙ্গবাজার, গোলাপ শাহ মাজার, নবাবপুর রোড হয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে পৌঁছে শেষ হয় এ শোভাযাত্রা।