বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের সঙ্গে দুটি ট্রলারও ফেরত পাওয়া গেছে বলে নৌবাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ১৬ অগাস্ট ঝড়ের কবলে পড়ে চারটি ট্রলার ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়ে। ভারতীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে। খবর পেয়ে তাদের আনতে যায় নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ প্রত্যয় ও কপোতাক্ষ।
বাংলাদেশি এই জেলেরা ভারতের উপকূল রক্ষা বাহিনীর ফ্রাজেরগঞ্জ ঘাঁটিতে অবস্থান করছিল। নৌবাহিনীর জাহাজ গিয়ে তাদের নিয়ে আসে।
বিকাল ৩টায় উদ্ধারকৃত জেলে এবং দুটি ট্রলার সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টের উপকূলে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে নৌবাহিনী জানায়।
“এছাড়া আরও দুটি ফিশিং ট্রলার মা গঙ্গা ও নাঈম চারজন জেলেসহ মেরামতের জন্য বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে। প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে ওই ট্রলার দুটিকে ফিরিয়ে আনা হবে।”
৬২ জেলের সঙ্গে দুটি ট্রলার আল্লাহর দান ও ফরহাদকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
‘আল্লাহর দান’ এ থাকা ১৫ জন জেলের অধিকাংশের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়। ট্রলারটির মালিক সিরাজ সওদাগর। ‘ফরহাদে’ থাকা ১৬ জন জেলের বেশির ভাগের বাড়ি কক্সবাজার এবং লক্ষ্মীপুর। এর মালিক কাইয়ুম সওদাগর।
মেরামতের জন্য রেখে আসা ট্রলার মা গঙ্গায় ছিলেন ১৭ জন জেলে, ট্রলারটির মালিক রাধে শ্যাম। ট্রলার ‘নাহিনে’ ছিলেন ১৮ জন জেলে। এর মালিক সাবের কোম্পানি।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ দুটি ভারতীয় মাছ ধরা ট্রলার ও বেশ কিছু ভারতীয় জেলেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করেছিল।