রাজধানীর শ্রম পরিদপ্তরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে অবশ্য ‘শিগগির সমাধান হওয়ার’ আশা প্রকাশ করেন পরিদপ্তরের পরিচালক এফ এম আশরাফুজ্জামান।
শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট নিয়ে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে ফের বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ধর্মঘটের প্রথম দুই দিনের মতো বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনও সদরঘাট থেকে ছেড়ে গেছে যাত্রীবাহী লঞ্চ; ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কয়েকটি।
শ্রম পরিদপ্তরের পরিচালক আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে বৈঠকে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন ভূইয়া, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল ও উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ছিলেন।
বৈঠক শেষ দুপুর সোয়া ১টার দিকে শ্রম পরিদপ্তরের পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা গত রাতে শ্রমিকদের সঙ্গে বসেছিলাম। আজ মালিকদের সঙ্গে বসেছি। আশা করি, শিঘ্রই এর একটা সমাধান হবে।”
পরবর্তী উদ্যোগ সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “আমরা নিজেরা মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আবারও বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।
“মালিক সমিতি আমাকে পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছে, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক।”
বৈঠকের পর বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থার সভাপতি মাহবুব বলেন, “আমরা আলোচনা করেছি। এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না, পরবর্তীতে আপনাদের জানাব।”
বৈঠকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলামও ছিলেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় একই স্থানে সরকারের প্রতিনিধি এবং মালিক ও শ্রমিকদের সমবেত হওয়ার আহ্বান জানানো হলেও মালিকরা যাননি।
বুধবার সন্ধ্যায় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর ‘কাঙ্ক্ষিত মজুরি’ না পেলে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অহেজুল ইসলাম বুলবুল।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ন কবির জানিয়েছেন, ধর্মঘটের মধ্যেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর সদরঘাট থেকে ১০টি লঞ্চ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। আরও কিছু লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন বুধবার সারা দিন ৫০টি লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে যায় বলেও জানান তিনি।