গুরুতর অবস্থায় আতিয়ার মোল্লা (২৭) নামে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর ছেলে আতিয়ার ভাটারা থানার পিছনে ‘আক্তার ফার্নিচার’ নামের একটি দোকানে কাজ করেন।
মোমেন ও ডাবলু নামে দুই যুবক বুধবার দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন বলে মেডিকেল ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া জানান।
“তারা জানায়, ওই দোকানের কর্মচারী মামুন দুষ্টুমি করে কমপ্রেসার দিয়ে আতিয়ারের পায়ুপথে বাতাস দিলে তার পেট ফুলে যায়।”
আতিয়ারকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসাতাল এবং পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়।
ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক সুবর্ণা দেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আতিয়ারের জরুরি অপারেশন প্রয়োজন। আমরা সে ব্যবস্থাই করছি।”
ওই দোকান থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ভাটারা থানার ওসি মো. নুরুল মুত্তাকিম জানিয়েছেন।
“মামুন বলেছে, দুষ্টুমি করে পায়ুপথে বাতাস দিতে গিয়ে এই অবস্থা হয়েছে।”
২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট খুলনা নগরীর একটি ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কম্প্রেসার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে রাকিব হাওলাদার (১২) নামের এক শ্রমিককে হত্যা করা হয়।
তিন মাসের মাথায় ৮ নভেম্বর ওই ঘটনায় দায়ের মামলার রায় হয়; যাতে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।