কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা নৌ-শ্রমিকদের

সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরেও কাঙ্ক্ষিত মজুরি না পেলে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে নৌ-শ্রমিকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 04:59 PM
Updated : 24 August 2016, 04:59 PM

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শ্রম পরিদপ্তরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অহেজুল ইসলাম বুলবুল।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন ও যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারি প্রতিনিধি দল শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডাকা হলেও আসেন শুধু শ্রমিক প্রতিনিধিরা, যারা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন।

বৈঠক থেকে শ্রমিকদের ধর্মঘট তুলে নিতে অনুরোধ জানানো হলেও মালিক প্রতিনিধিরা না থাকায় কোনো সমাধানে আসা যায় নি বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান জানান অতিরিক্ত সচিব মামুন।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, “নৌ-চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, যাত্রীদের দুর্ভোগ হচ্ছে বলে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে খবর আমাদের নজরে আসে। তখন আমরা মধ্যস্থতা করে এই দুর্ভোগ লাঘবের উদ্যোগ নিই।

“আমরা মালিক প্রতিনিধিদেরকেও ডেকেছি। তারা কোনো কারণে আসতে পারেনি বলে আমাদেরকে জানিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রম পরিদপ্তরে মালিকরা আসবেন, তাদের সঙ্গে বসব।”

মালিক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে একটা সমাধানে আসতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অতিরিক্ত সচিব মামুন বলেন, “আমরা তাদের (শ্রমিক প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলেছি। সামনে ঈদসহ অনেক ছুটি রয়েছে। তাই তাদেরকে ধর্মঘট তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করি কালকে মালিক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে একটা সমাধানে আসতে পারব।”

তবে শ্রমিক নেতা বুলবুল বলেন, “এটা ধর্মঘট নয়, কর্ম বিরতি। তারা (মালিক পক্ষ) ন্যুনতম মজুরি ১০ হাজার টাকা ঘোষণা করে তারাই দিচ্ছে না। তাই শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে গিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।”

এদিকে ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সদরঘাট থেকে ৪২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ন কবির।

তিনি রাত ৯টার দিকে জানান, আরও আটটি লঞ্চ যাত্রীর অপেক্ষায় পন্টুনে ভেড়ানো আছে। রাত ১২টার মধ্যে মোট ৫০টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৭টি লঞ্চ এসেছে।