কেবল কাটা পড়ে ইন্টারনেটে ধীরগতি

ইন্টারনেট সংযোগে সাবমেরিন কেবলের বিকল্প আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) কাটা পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকার কিছু কিছু এলাকার গ্রাহকরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 03:29 PM
Updated : 25 August 2016, 04:50 AM

আইটিসি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ স্ট্র্যাটেজিক অফিসার সুমন আহমেদ সাবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুষ্টিয়ায় তার প্রতিষ্ঠানসহ আরও কয়েকটি কোম্পানির কেবল কাটা পড়ে।

এ কারণে ঢাকার কিছু এলাকায় গ্রাহকরা ইন্টারনেটে ধীর গতি পাচ্ছেন বলে জানান সুমন। 

আইটিসি অপারেটর ওয়ান এশিয়া অ্যালায়েন্স কমিউনিকেশন, নভোকম এবং ম্যাংগো টেলি সার্ভিসেসের কেবলও কাটা পড়েছে জানিয়ে সুমন বলেন, “মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করি।”

তবে ঠিক কীভাবে লাইন কাটা পড়ল, সে বিষয়ে কোনো তথ‌্য তার কাছ থেকে জানা যায়নি।

বাংলাদেশের ছয়টি আইটিসি অপারেটর প্রায় চার বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে দেশে সরবরাহ করছে। বর্তমানে এই ছয় কোম্পানি ১৬০ জিবিপিএসের (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) বেশি ব্যান্ডউইথ দিচ্ছে দেশে।

২০১২ সালের আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংযোগের জন্য একটি মাত্র সাবমেরিন কেবলের ওপর নির্ভর করত। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে আইটিসি অপারেটরগুলো তাদের অপারেশন শুরু করে।

আইটিসি অপারেটররা টেরেস্ট্রিয়াল অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মাধ্যমে ভারতীয় বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। কোনো কারণে সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিকল্প ব‌্যবস্থায় তারা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে পারে।

২০১২ সালে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এই ছয় অপারেটর হল নভোকম লিমিটেড, ওয়ান এশিয়া-এএইচএলজেভি, বিডি লিংক কমিউনিকেশনস লিমিটেড, ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেড, সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড।

আগামী ডিসেম্বরে একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ নামের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ পাবে বলে আশা করছে সরকার।