মীর কাসেমের রিভিউতে দ্বিগুণ সময়

এ পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধের অন‌্যান‌্য মামলা রিভিউয়ে যে সময় লেগেছে, মীর কাসেম আলীর ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে তার দ্বিগুণ সময় পেরিয়ে গেছে বলে হিসাব দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 03:08 PM
Updated : 24 August 2016, 03:08 PM

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই জামায়াত নেতার যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানি শুরু হয়।

আসামি পক্ষের আবেদনে রোববার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে আদালত। আগে এক মাস সময় দেওয়ায় এরপর আর সময় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপিল বিভাগে যুদ্ধাপরাধের মামলাগুলো পরিচালনাকারী মাহবুবে আলম রোববার আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ইতোমধ্যে দেরি হয়ে গেছে।”

তিনি জানান, আব্দুল কাদের মোল্লার রিভিউ যেদিন দায়ের করা হয়েছিল, তার পরদিনই শুনানি হয়েছে। মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ দায়েরের ৩১ দিনের মাথায় শুনানি হয়েছে।

আলী আহসান মো. মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদনের ৩৪ দিন পর এবং মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ দায়েরের ৩৬ দিন পর শুনানি হয়েছে।

এদের সবার মতোই একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত‌্যুদণ্ড হয়েছে জামায়াতের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের।

তাকে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপর গত ৮ মার্চ তার আপিলের রায়েও ওই সাজা বহাল থাকে।

৬ জুন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন‌্য ১৯ জুন আবেদন করেন মীর কাসেম। তা গত ২৫ জুলাই আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসার পর মীর কাসেমের আবেদনে শুনানি এক মাস পিছিয়ে যায়।

অ‌্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “মীর কাসেমের মামলায় রিভিউ দায়ের হয়েছে গত ১৯ জুন, আজ পর্যন্ত ৬৬ দিন চলে গেছে।

“নানা অজুহাতে তারা (আসামিপক্ষের আইনজীবীরা) বলেছেন, মীর কাসেমের ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য আইনজীবী সময় চেয়েছেন। আপিল বিভাগ তাদের এই বক্তব্য গ্রহণ করেননি। আপিল বিভাগ শুনানি শুরু করতে বলেছেন।”

রোববার শুনানি শেষ হবে বলে আশা করছেন মাহবুবে আলম।

মীর কাসেমের ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহমেদ বিন কাসেম আরমান তার বাবার মামলা পরিচালনায় যুক্ত। তাকে সম্প্রতি ডিবি পরিচয়ে আটক করা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি, তবে পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।

রোববার শুনানি পেছানোর আবেদনে আসামি পক্ষের প্রধান আইনজীবী খোন্দকার মাহবুব হোসেন সহকর্মী নিখোঁজ আরমানের অনুপস্থিতিতে প্রস্তুতি নিতে না পারার যুক্তি দিয়েছিলেন।  

অ‌্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এটা রিভিউ আবেদন, সার্টিফিকেট দেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট। এই মামলার পুরো শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহজাহান, উনি পাশে উপস্থিত ছিলেন। কাজেই এখানে মীর কাসেমের ছেলের অনুপস্থিতির জন্য মামলার শুনানি বন্ধ করা যায় না।”

এই মামলার নথিপত্র আরমানের কাছেই ছিল বলে জানান খোন্দকার মাহবুব।  

এ ধরনের মামলার নথি সাধারণত কোথায় থাকে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রিভিউর নথি মক্কেলের কাছে থাকার কথা না, সেটা আইনজীবীর কাছে থাকবে, অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের কাছে থাকবে।”