ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব বুধবার তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এই আদেশ দেন।
এর আগে সিফাতকে আদালতে হাজির করে দীপন হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহমুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ সময় আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়ান নি।
বিচারক শুনানি শেষ করে তার ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে টঙ্গী থেকে সিফাত ওরফে শামীম ওরফে মইনুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া তিনি সামির ও ইমরান নামেও পরিচিত।
গত বছর ৩১ অক্টোবর বিকালে শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়; ওই প্রকাশনা থেকে জঙ্গি হামলায় নিহত বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ বইটি প্রকাশ করা হয়েছিল।
সেদিনই অভিজিতের বইয়ের আরেক প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে এর কর্ণধার আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।
দীপন হত্যার সময় সিফাত ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, সিফাত হত্যার আগে ঘটনাস্থলে গিয়ে রেকি করেছেন। হত্যার সময় ঘটনাস্থলে আরও পাঁচজন ছিলেন। এক মাস আগে থেকে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিফাত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল।