জগন্নাথের আবাসন সমস্যা সমাধানে সরকার সচেষ্ট: শিক্ষামন্ত্রী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে সরকার সচেষ্ট আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 12:30 PM
Updated : 24 August 2016, 12:31 PM

নতুন হলের দাবিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে বুধবার সচিবালয়ে এক জরুরি সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে জরুরি সভা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের সভাপতিত্বে শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, মো. হেলাল উদ্দিন, অশোক কুমার বিশ্বাসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় শিক্ষামন্ত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রকট আবাসিক সমস্যার কষ্টের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, “এ সমস্যার সমাধানে সরকার সর্বতোভাবে সচেষ্ট আছে।”

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত আছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সব মহলের সহযোগিতাও কামনা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বুধবার সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারের জায়গায় নতুন হল নির্মাণের দাবিতে গত ২ অগাস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গত ১৭ অগাস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ে পুলিশের বাধা পেয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান শেষে ধর্মঘটের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা।

গত বৃহস্পতি ও রোববার ধর্মঘট পালন করে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। পুরান ঢাকার বংশাল মোড়ে পুলিশের বাধা পেয়ে তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ওই সময় মঙ্গল ও বুধবার ধর্মঘটের ডাক দেন তারা।

নতুন হলের দাবিতে ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে অবস্থান নেন।

সমাবেশ থেকে আগামী শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সংহতি সমাবেশ, সন্ধ্যায় শাহবাগে মশাল মিছিল ও পরদিন সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

১৯৮৫ সাল থেকে প্রভাবশালীরা জগন্নাথের ১১টি হল দখল করে আছে। ২০০৯ সালের বৃহত্তর আন্দোলনে এ বিষয়ে সরকারের টনক নড়ে। পরে ২০১১ ও ২০১৪ সারের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা দুটি হল উদ্ধার করে।