সামাজিক বনায়ন এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে বৃক্ষ রোপন অভিযানকে আরও এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 12:23 PM
Updated : 24 August 2016, 12:23 PM

বুধবার জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৬ উপলক্ষে বঙ্গভবনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সামাজিক বনায়ন একদিকে যেমন বাংলাদেশের অনেক পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তাদের জীবনে বয়ে আনছে সুখ ও সমৃদ্ধি, অন্যদিকে সৃষ্টি করছে বনজ সম্পদ।

“তাই সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ অভিযানকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য দেশের সর্বত্রই সবাইকে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।”

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, “সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশ আজ বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের এক নির্মম শিকার। মানবসৃষ্ট কারণে নিঃসরিত গ্রিন হাউস গ্যাসই পাল্টে দিচ্ছে চারিপাশ, পাল্টে দিচ্ছে আবহাওয়া, জলবায়ু। আর এ পরিবর্তনের হাত ধরেই ক্রমাগত আঘাত হানছে ঝড়-ঝঞ্ঝা, জলোচ্ছ্বাস এবং বন্যা।

“অপরিকল্পিত নগরায়ন, বনভূমিকে কৃষি জমিতে রূপান্তর, বসত বাড়ি ও শিল্প কারখানার সম্প্রসারণ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে কমছে বনজ সম্পদ, হারাচ্ছে জীব বৈচিত্র্য। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন ব্যাপক বনায়ন এবং জনগণের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে গ্রামীণ ও নগর জনপদে সবুজ আচ্ছাদন গড়ে তোলার জন্য ধর্ম-বর্ণ-গোত্র এবং দল-মত নির্বিশেষে সকলকে আমি আহবান জানাই। এখন বর্ষাকাল। বৃক্ষরোপণের উপযুক্ত সময়। ৩ মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে নগর তথা দেশকে সবুজে সবুজে ভরে দেয়ার জন্য আমি সবাইকে আহবান জানাই।”

বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পরিবেশ ও বন সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গভবনে প্রধান বৃক্ষপালনবিদ শেখ মো. কুদরত ই খুদা।

পরে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনের ‘সিংহ পুকুর’ সংলগ্ন বাগানে একটি আমলকি গাছের চারা রোপন করেন। এছাড়া ওই সময়ে রক্তকবরী, লবঙ্গ, হৈমন্তি, চম্পা, আকন্দ, আগর ও কর্পূর গাছের চারা রোপন করা হয়।