অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা এ ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন বুধবারও সদরঘাট থেকে ছেড়ে গেছে যাত্রীবাহী লঞ্চ; ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কয়েকটি।
মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা মজুরিসহ চার দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চালিয়ে আসছে নৌশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।
ধর্মঘটের প্রথম দিন সকালে সদরঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়েনি। তবে বিকালে ও রাতে বেশ কিছু লঞ্চ ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) দিনেশ কুমার দাস।
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সদরঘাট থেকে ২৪টি লঞ্চ ছেড়ে যায়, যা স্বাভাবিক দিনের চেয়ে অর্ধেক। আর সদরঘাটে ফিরে আসে ৩৭টি লঞ্চ।”
টিআই দিনেশ জানান, বুধবার সকালেও চাঁদপুর, বরিশাল, সুরেশ্বর ও মুলাদির দিকে চারটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। কয়েকটি ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ধর্মঘটের মধ্যেও লঞ্চ চলাচল নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম চৌধুরী বলেন, মালিকদের চাপে যাত্রীবাহী কোনো কোনো লঞ্চ ছাড়লেও পণ্যবাহী জাহাজ চলছে না।
“বিএনপি-আওয়ামী লীগের বড় বড় হরতালেও কিছু গাড়ি চলে। এখানেও তাই হচ্ছে, তবে পণ্যবাহী কোনো জাহাজ চলছে না।”
মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা মজুরি, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পুননির্ধারণ, নৌপথে সন্ত্রাসী-ডাকাতি -চাঁদাবাজি বন্ধ ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে দেশের সবগুলো নদীবন্দরে ধর্মঘটের ডাক দেয় নৌশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।
নৌ শ্রমিকদের ১৭টি সংগঠনের যৌথ এ কর্মসূচিতে তেলবাহী নৌযান শ্রমিকরা নেই বলে এর আগে জানিয়েছিলেন শ্রমিকনেতা শাহ আলম।
“তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, তাই তারা নেই। অন্য সব নৌশ্রমিক চার দফা আন্দোলনে যুক্ত রয়েছেন। তাদের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।”
বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এর আগেও ধর্মঘট করেছে নৌ যান শ্রমিকরা।
২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ওই ধর্মঘটের ছয়দিন পর নৌ মন্ত্রী শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার টাকা ঘোষণা দেয়ার পর ধর্মঘট থেকে সরে আসা হয় বলে দাবি শাহ আলমের।
চার মাসেও সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না হওয়ায় নতুন এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে, ভাষ্য তার।