মঙ্গলবার নিজের মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বেতনের বিষয়টি শ্রম মন্ত্রণালয় দেখছে। তিন মাস আগে আমরা সর্বনিম্ন মজুরি কাঠামো প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কার্গো মালিকদের কারণে এটি নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।”
মন্ত্রী বলেন, “তেলবাহী শ্রমিকদের বেতন নিয়ে সমস্যা নেই। সমস্যা হল কার্গো ও যাত্রীবাহী নৌযান শ্রমিকদের।”
ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকে অচল হয়ে আছে দেশের প্রধান নৌ বন্দরগুলো।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, বেতন-ভাতার দাবিতে গত ২০ এপ্রিল শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকার ছয় দিন পর নৌমন্ত্রী ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার টাকা করার ঘোষণা দিলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় নৌ শ্রমিকরা ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
অবশ্য এ কর্মসূচিকে ‘ধর্মঘট’ বলতে নারাজ নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, “মজুরির বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। শ্রমমন্ত্রী ঢাকার বাইরে আছেন, তিনি এলে আশা করি আগামীকাল এ নিয়ে আলোচনা হবে।”
ধর্মঘটে যাওয়া শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, “মালিক-শ্রমিক সমঝোতা না হলে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে।”
এদিকে লঞ্চ মালিক সমিতির উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে দাবি করেন, ধর্মঘট হলেও লঞ্চ চলাচল করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডিব্লিউটিএ-এর পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদরঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। টিপুর ছয়টি লঞ্চসহ বরিশাল ও ভোলা রুটের ১০টি লঞ্চ সদরঘাটের পন্টুনে ভিড়ে আছে। বিকালের দিকে সেগুলো ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।”