মঙ্গলবার ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গুলশান হামলায় নিহত ছয় জঙ্গি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
“পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরিবারের সদস্যদের ডিএনএর সঙ্গে ছয়জনের ডিএনএ মিলেছে।”
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি নামের ওই ক্যাফেতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে হামলাকারীরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওই ছয়জনের মধ্যে শরীয়তপুরের সাইফুল চৌকিদার নামে একজন ছিলেন ওই বেকারির পাচক। তিনিও ‘হামলাকারীদের সঙ্গে থেকে তাদের সহায়তা করেন’ বলে পুলিশের ভাষ্য।
তবে গুলশান হামলায় পুলিশের করা মামলায় আসামির তালিকায় ওই ছয়জনেরই নাম আছে।
অভিযানে নিহতদের মধ্যে দুইজন বগুড়ার, তাদের একজন মাদ্রাসা ছাত্র; অন্য তিনজনের পড়াশোনা ঢাকার নামি ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদুর জানান, হামলাকারী ও সহযোগিতারকারী হিসেবে চিহ্নিত ছয়জনের লাশ এখনো ঢাকা সিএমএইচের মরচুয়ারিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের কারও কাছ থেকে লাশ চেয়ে আবেদন পাওয়া যায়নি। আবেদন পাওয়া গেলে তদন্ত কর্মকর্তা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত এক জঙ্গির বাবা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য বলেছিলেন করেছি। তবে লাশ নিতে কোথায় আবেদন করতে হবে তা কেউ বলেনি।”
হামলাকারীদের একজন নিবরাজ ইসলাম নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। আর রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং মীর সামিহ মোবাশ্বের স্কলাস্টিকার ছাত্র।
পুলিশ বলছে, অভিযানে নিহত বগুড়ার ধুনট উপজেলার কৈয়াগাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং শাহজাহানপুর উপজেলার খায়েরুজ্জামান মাদ্রাসা ছাত্র ছিলেন।