চার বছর আগে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের তখনকার সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ ধরা পড়ার পর ইউসুফ মৃধার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন।
এরপর অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়ে ২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, বুধবার সেই মামলার রায় হয়েছে।
ঢাকার নয় নম্বর বিশেষ জজ আমিনুল ইসলামের দেওয়া রায়ে ইউসুফ মৃধাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কারাগারে থাকা ইউসুফ মৃধার উপস্থিতিতে আদালতের এই রায় হয়।
ওই আদালতের পেশকার আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলায় দুটি ধারায় আসামি ইউসুফ মৃধার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে দুটি সাজা একই সঙ্গে চলবে বলে তাকে তিন বছর সাজা খাটতে হবে।
রায়ে রেলের এই কর্মকর্তাকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।
২০১২ সালের এপ্রিলে ধরা পড়ার পর সম্পদের তথ্য জানাতে ইউসুফ মৃধাকে নোটিস দিয়েছিল দুদক।
সেই তথ্যে গড়বড় পেয়ে ১৪ অগাস্ট দুদকের উপ সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল হাসান তরফদার রমনা থাকায় মামলা করেন। ওই বছরের ২৭ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ।
ইউসুফ মৃধার ৪০ লাখ ৯ হাজার ৭১৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
তাতে আরও বলা হয়েছিল, দুদক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আরও ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৯১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের কথা স্বীকার করেন রেলের এই কর্মকর্তা।
পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপক ছিলেন ইউসুফ মৃধা। ২০১২ সালে ওমর ফারুকের সঙ্গে ধরা পড়ার পর তার বিরুদ্ধে রেলে নিয়োগে অনিয়ম ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আরও কয়েকটি মামলা বিচারাধীন।
সহকারী ওমর ফারুকের গাড়িতে অর্থ পাওয়ার ওই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। পরে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধেও দুদক অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে।