মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে প্লাবনের শঙ্কা

বাংলাশের উত্তরাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির পূর্বাভাস দিলেও পানি সাগরে নামার সময় মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলা নতুন করে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2016, 07:30 AM
Updated : 30 July 2016, 08:13 AM

শনিবার মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিপ্তরের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দেশের বন্যা পরিস্থিতি ও তা মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল।

তিনি বলেন, “যেসব নদীর পানি বেড়েছিল, সেগুলো দুয়েকদিনের মধ্যে কমে আসতে শুরু করবে। এই পানি বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার সময় রাজবাড়ী, ফরিদুপর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল জেলার প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

উজান থেকে নামা ঢল ও বৃষ্টির পানিতে দেশের ১৬টি জেলার ৫৯টি উপজেলা এখন বন্যাকবলিত।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৯ জুলাই পর্যন্ত বন্যায় তিন লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৬টি পরিবারের মোট ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৫ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; নয় হাজার ৩১৪টি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১২ হাজার ৩৭১টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত।

বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে রংপুরে একজন, কুড়িগ্রামে দুই জন, গাইবান্ধায় চার জন এবং জামালপুরে সাত জন।

সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “দুর্গত এলাকায় ত্রাণের কোনো অভাব নেই। ৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সাড়ে পাঁচ কোটি নগদ টাকাও ছাড় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ত্রাণ কাজে দেশের বিত্তবান ও রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানানো হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এটা আহ্বান জানানোর বিষয় নয়, আন্তরকিতার। এখন পর্যন্ত বিত্তবান মানুষ কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলকে কি দেখেছেন এ বিষয়ে সজাগ? তারা নিজেদের বিষয় নিয়ে ব্যস্ত। 

“প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো মানুষ যাতে না খেয়ে থাকে। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। তারপরেও আমাদের আহ্বান থাকবে যার যতটুকু সম্বল রয়েছে তা নিয়ে বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে।”

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পুনর্বাসন কাজেও মন্ত্রণালয় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানান মন্ত্রী।

রোববার থেকে সচিব ছাড়া মন্ত্রণালয়ের সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ত্রাণ ও পুর্নবাসন কাজ তদারক করবেন বলেও জানান তিনি।

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানি বাড়ার পূর্বাভাসের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সচিব বলেন, “দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশ (এসওডি) অনুযায়ী ১৮টি মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে আগাম সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি রয়েছে।”