পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবারের দিকে গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে।
তবে রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুরে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
টানা দশ দিনের বৃষ্টিতে দেশের অন্তত এক ডজন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই লাখেরও বেশি পরিবারের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। পাশাপাশি রাস্তাঘাট, বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে নদী গর্ভে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার কুড়িগ্রামের উজানে বৃষ্টিপাত কমেছে। আরও দুদিন তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উজানে বৃষ্টি কমায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টাও তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির শনিবারও কিছুটা অবনতি হতে পারে। তবে ৪৮ ঘণ্টায় উন্নতি আরম্ভ করতে পারে।
“এখনও নদ-নদীর ১৯টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে বয়ে যাচ্ছে। এজন্য মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিরি অবনতির শঙ্কা রয়েছে। ঢাকার আশপাশের নদ-নদীর পানিও বাড়বে এসময়।”
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, উজানে দুয়েকদিনের জন্য বৃষ্টি কমছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে দেশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে।
শনিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, রাজশাহী ও বরিশালের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এসময় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।