হিন্দু নেতা-পুরোহিতদের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি

হত্যার ‘হুমকিতে থাকা’ হিন্দু নেতা ও পুরোহিতদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং হুমকিদাতাদের কঠোর শাস্তিসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2016, 10:58 AM
Updated : 29 July 2016, 11:01 AM

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায় তাদের এসব দাবি তুলে ধরেন।

দাবি চারটি হচ্ছে- বাংলাদেশের যেসব হিন্দু নেতা ও পুরোহিতকে বা মন্দিরে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা এবং হুমকিদাতাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি প্রদান, আসন্ন দুর্গা পূজায় একদিনের পরিবর্তে তিনদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা এবং জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা।

গত দেড় বছরে লেখক-প্রকাশক, ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, সমকামী অধিকার কর্মী, বিদেশি, বৌদ্ধভিক্ষু, ধর্মান্তরিত ও ভিন্ন মতের মুসলিম ধর্মগুরুসহ বেশ কয়েকজন হিন্দু পুরোহিতকে একই কায়দায় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

এসব ঘটনার বেশ কয়েকটিতে জঙ্গি সংগঠন আইএস দায় স্বীকার করলেও সরকার দেশে আইএসের অস্তিত্ব অস্বীকার করে আসছে।

লিখিত বক্তব্যে প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, “এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ-মন্দির, প্রতিমা ভাংচুর, পুরোহিত হত্যা, হিন্দু বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটেরর কথা দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী জানতে পেরেছে।”

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা ভেবেছিল তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে- একথা উল্লেখ করে তিনি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।

হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা ‘ক্রান্তিকাল অতিক্রম’ করছে মন্তব্য করে প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু নেতা ও পুরোহিতদের মোবাইল, চিঠি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং কোনো কোনো জায়গায় তা সংঘটিত হচ্ছে।”

বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে অভিযোগ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সভাপতি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই, তিনি যেন ডিসি-এসপিদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কারও ওপর অত্যাচার হলে তাৎক্ষণিক অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির নির্বাহী সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাস বিপুল বিশ্বাস ও যুগ্ম সম্পাদক সোমা সরকার উপস্থিত ছিলেন।