জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিন শুক্রবার সচিবালয়ে নৌ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যঅধিবেশনে তিনি বলেন, জরিপ ছাড়া যেন কোনো নদী থেকে বালু তোলা না হয় সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে।
কার্যঅধিবেশন শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপ্রবাহ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি নদীর পাড় ও বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে এবং নদীর স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে।
“এটা যাতে না করতে পারে সেজন্য ডিসিদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিসিরা কোনোক্রমেই কাউকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেবেন না।
“বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে নদীর সার্ভে করে কোন জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করা যায় তাদের পক্ষ থেকে বলার পরেই বালু উত্তোলন করা যাবে, অন্যাথায় বালু উত্তোলন করা যাবে না।”
বর্ষাকালে ফেরি ও লঞ্চ ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে নৌমন্ত্রী বলেন, “এই ভাঙন প্রতিরোধে ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছি।
“ইজারাদারদের অত্যাচারের কারণেই ১৪টি ফেরিঘাটে ইজারাদারি বন্ধ করে দিয়েছি। যাত্রীদের ওপর যেন কোনো অত্যাচার-নির্যাতন না হয় ডিসিদের সে বিষয়ে বলা হয়েছে।”
বিভিন্ন ঘাটে চাঁদাবাজি ও ফেরির মধ্যে জুয়া খেলার প্রসঙ্গ তুলে শাজাহান খান বলেন, এসব বিষয়ে ডিসিদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কেউ যাতে চাঁদাবাজি করতে না পারে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“নদী রক্ষার জন্য আমরা যত ধরনের কার্যক্রম নেব ডিসিরা যেন সেসব ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেন সেই নির্দেশনা তাদের দেওয়া হয়েছে,” যোগ করেন নৌমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে এ কার্যঅধিবেশনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।