পরোয়ানাতেই আসামি হস্তান্তরে বহিঃসমর্পণ চুক্তি সংশোধন

কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেই আসামি হস্তান্তরের সুযোগ তৈরি করে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বহিঃসমর্পণ চুক্তির সংশোধনীতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

নয়াদিল্লি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2016, 04:40 PM
Updated : 28 July 2016, 07:44 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের এক বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে এই সংশোধনী স্বাক্ষরিত হয়।

দ্বিপক্ষীয় বহিঃসমর্পণ চুক্তির ১০(৩) ধারায় সংশোধনী আসার ফলে, বাংলাদেশের কেউ ভারতে রয়েছে এমন কারও বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ‘ট্রায়াল’ করার জন্য ভারত সরকার তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে।

অনুরূপভাবে ভারত সরকার যদি গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় থাকা কাউকে চায়, তাহলে বাংলাদেশও তাকে হস্তান্তর করবে।

ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন বা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিনিময়ে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে ‘বহিঃসমর্পণ চুক্তি’ করে বাংলাদেশ। ওই বছরের ৭ অক্টোবর মন্ত্রিসভা এই চুক্তিতে অনুসমর্থন দেওয়ার পর ২৩ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হয়।

চুক্তির সংশোধনীর কারণে এখন থেকে কোনো আসামির দণ্ড বা বিচারকাজ শুরু না হলেও শুধু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হলেই দুই দেশ পরস্পরের মধ্যে আসামি হস্তান্তর করতে পারবে।

এর চুক্তির ১০(৩) ধারাটি ভারত সরকার ‘সহজ’ করার অনুরোধ জানালে যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ১৮ জুলাই ‘বহিঃসমর্পণ চুক্তি’ সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়।

বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং জঙ্গি মৌলবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

তিনি বলেন,“দুই দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং জঙ্গিবাদ হটাতে দুই দেশকে সব সময় সতর্ক থেকে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।”

বৈঠকে ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি ও এটির ২০১১ সালের প্রটোকল বাস্তবায়ন হওয়াতেও সন্তোষ প্রকাশ করেন রাজনাথ সিং।

বৈঠকের পর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।