জঙ্গি যোগাড়ে আর্থিক সহায়তা: পুলিশ

জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য সদস্য সংগ্রহে ‘সমস্যাক্লিষ্ট’ তরুণদের টার্গেট করে কেউ দরিদ্র পরিবারের থাকলে তাকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2016, 02:49 PM
Updated : 28 July 2016, 03:05 PM

জঙ্গি দমনে নিয়োজিত পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় জড়িতদের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একথা বলেন।

তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ থেকে যেসব জঙ্গিকে আমরা পেয়েছি, তাদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের। এদেরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রমাণও আমরা পেয়েছি।”

জঙ্গিবাদে সদস্য সংগ্রহকারীদের ‘ভালো মানের’ সাইকোলজিস্ট অভিহিত করে মনিরুল ইসলাম বলেন, “তারা ‘ভালনারেবল’ তরুণদের টার্গেট করে। ওই সব তরুণদেরই তারা টার্গেট করে যারা এই দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানে না।”

চলতি মাসে গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলা চালিয়ে যারা নিহত হন এবং কল্যাণপুরে পুলিশি অভিযানে নিহতদের অধিকাংশই ঢাকার অভিজাত পরিবারের সন্তানদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এবং মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। 

এদের বেশ কয়েকজন ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ-সাউথ, ব্র্যাক এবং নামি স্কুল স্কলাস্টিকায় পড়াশোনা করেছেন। উচ্চ ব্যয়ের কারণে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণত উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরাই লেখাপড়া করতে পারেন।

অপরদিকে তিন ঘটনায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে অন্তত চারজন মাদ্রাসা ছাত্র, যাদের অধিকাংশই উত্তরবঙ্গের দরিদ্র পরিবার থেকে আসা।

এসব তরুণদের কীভাবে জঙ্গিবাদে নিয়ে আসা হয় তা নিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, “রিক্রুটাররা প্রথমে তাদের (টার্গেটেড তরুণ) কোনো দুঃখ, কষ্ট, দুর্বলতা আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে। এ রকম কিছু পেলে তা থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এরপর তাদের সঙ্গে ধর্ম বিষয়ক কথাবার্তা বলে, মসজিদে নিয়ে যায়।”

এভাবে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সন্তানদের দিকে নজর দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান রাখছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।