জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় তিন সাক্ষীকে জেরা

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তিন সাক্ষীকে জেরার পাশাপাশি একজনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2016, 01:33 PM
Updated : 28 July 2016, 01:33 PM

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার সাক্ষীদের জেরা এবং জবানবন্দি গ্রহণের পর আগামী ৪ অগাস্ট পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখেন বলে সাংবাদিকদের জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

একই আদালতে খালেদা জিয়াসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া এবং দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামি ছয়জন।

বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা দাখিল করেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার কার্যক্রমের শুরুতে গত ২১ জুলাই জবানবন্দি দেওয়া সাক্ষী সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) জগলুল পাশা এবং ফেনীর ছাগলনাইয়ার সাব-রেজিস্ট্রার গোলাম ফারুককে জেরা করা হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান এবং তারেক রহমানের পক্ষে বোরহান উদ্দিন সাক্ষীদের জেরা করেন।

জেরা শেষে বগুড়া জেলার গাবতলীর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দপ্তরি আব্দুল জলিলের জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত।

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরার জন্য সময় চাইলে বিচারক সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দায়ের মামলায় ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

তারেক রহমান ২০০৮ সালে আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে দেশ ছাড়ার পর আর ফেরেননি। তার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ আরও কয়েক ডজন মামলা রয়েছে।

মামলায় মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।