জঙ্গিদের পরনে কালো পোশাক, আইজিপি বলছেন ‘জেএমবি’

রাজধানীর কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে নিহত নয়জন নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির সদস্য বলে ধারণা করছেন পুলিশ প্রধান একেএম শহীদুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2016, 05:30 AM
Updated : 26 July 2016, 02:54 PM

রাতভর অভিযানের পর সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “গুলশানে জেএমবির যে গ্রুপটি হামলা চালিয়েছিল, এরা সে গ্রুপেরই কেউ।”

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশ সোমবার রাত সাড়ে ১২টার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ওই বাসায় তল্লাশি করেত গেলে সেখান থেকে গ্রেনেড ছোড়া হয়। সেখানে জঙ্গি আছে ধারণা করে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

“কিছু সময় পর পুলিশ পুরো বাসাটি কর্ডন করে ফেলে যেন জঙ্গিরা পালিয়ে যেতে না পারে। এরপর পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াট ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় ও রেকি করে। 

“ভোর ৫ টা ৫১ মিনিটে পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় জঙ্গিরা ফ্ল্যাটের দরজা খুলে গুলি করতে করতে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের পরনে কালো রঙের জঙ্গি পোশাক ছিল, মাথায় ছিল পাগড়ি; সঙ্গে ছিল ব্যাকপ্যাক।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ভোরে সোয়াটের এক ঘণ্টার অভিযান ‘অপারেশন স্টর্ম টোয়েন্টি সিক্স’ শেষ হলে ওই বাসায় নয় জনের লাশ পাওয়া যায়; যাদের সবার পরনে কালো পাঞ্জাবি ছিল।

“ওই বাসা থেকে আরও বেশ কিছু নতুন কালো পাঞ্জাবি ও কালো পতাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ফ্ল্যাটে একটি গ্রেনেড ও একটি পিস্তল পাওয়া গেছে।”

গত ১ জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলার আগে পাঁচ জঙ্গি অস্ত্র হাতে কালো পাঞ্জাবি পড়ে আইএস এর কালো পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে, যা পরে আইএস প্রকাশ করে।

ওই জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে কয়েক দিনপর শ্যাওড়াপাড়া থেকে এক বাড়ির মালিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই বাড়িতেও জঙ্গিদের কালো পোশাক পাওয়া যায়।

আইএস গুলশানের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বলে খবর এলেও বাংলাদেশের পুলিশ হামলাকারীদের জেএমবি সদস্য বলে আসছে। কল্যাণপুরের অভিযানের পর আবারও সে কথাই বলেছেন আইজিপি শহীদুল হক।

“আমাদের ধারণা তারা জেএমবির সদস্য, তবে ওরা নিজেদের আইএস বলে দাবি করে। আইএসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।”