জাতীয় প্রেস ক্লাব: বর্তমান সভাপতির আবেদন খারিজ

জাতীয় প্রেস ক্লাবের বর্তমান কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে কমিটির সভাপতির করা আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন ‘অকার্যকর’ বলে খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 05:46 PM
Updated : 25 July 2016, 05:46 PM

সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আবেদনকারী বর্তমান কমিটির সভাপতি শফিকুর রহমানের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

অন্য পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও আইনজীবী মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন।

বর্তমান সভাপতির কৌঁসুলি মাহবুবে আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টেয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভুলবশত আদালতের কাছে এই মর্মে বক্তব্য রাখা হয়েছিল যে আবেদনটি (লিভ টু আপিল) অকার্যকর হয়ে গেছে। আদালত আবেদনটি অকার্যকর বলে খারিজ করে দিয়েছেন।

“পরবর্তীতে দেখা গেল, এই আবেদনটি অকার্যকর হয়নি বরং আবেদনটি চালানো প্রয়োজন। সেজন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার) ওই আদেশ রিকলের (প্রত্যাহারের) জন্য দরখাস্ত করছি।”

আপিলে বিবাদী সৈয়দ আবদাল আহমেদের আইনজীবী সালেহউদ্দিন বলেন, “অপরপক্ষের কৌঁসুলি আবেদনটি অকার্যকর বলেছেন। তবে এর ফলে কী হবে, তা আদেশ না পেলে বলতে পারছি না।”

কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও নির্বাচন নিয়ে জটিলতার মধ্যে গত বছর এক সাধারণ সভা ডেকে আওয়ামী লীগ সমর্থক সাংবাদিকরা এবং বিএনপি সমর্থক সাংবাদিকদের একাংশ মিলে একটি ‘সমঝোতার’ কমিটি করেন।

গত বছরের ২৮ মে গঠিত ওই কমিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থক মুহাম্মদ শফিকুর রহমানকে সভাপতি এবং বিএনপি সমর্থক কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ১৭ সদস্যের কমিটিতে দুই পক্ষের সাংবাদিকদেরই স্থান হয়।

তবে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ ওই কমিটির বিরুদ্ধে যান আদালতে, যাতে সমর্থন ছিল বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত বিএফইউজের একাংশের।

কমিটির সাত সদস্যের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নিম্ন আদালতে করা ওই আবেদনে গত বছরের ২২ জুলাই নিষ্পত্তি না করে নথিভুক্ত করা হলে তার বিরুদ্ধে অগাস্টে হাই কোর্টে (সিভিল রিভিশন) আবেদন করেন আবদাল।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৬ অগাস্ট হাই কোর্টের একটি একক বেঞ্চ নতুন কমিটির কার্যক্রমের উপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা ও রুল দেয়।

রুলে নির্বাচন ছাড়া গঠিত ওই কমিটির কার্যক্রম পরিচালনায় কেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। প্রতিপক্ষদের বলা হয়, চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে।

নিষোধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত চেয়ে ওইদিনই চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন বর্তমান কমিটির সভাপতি, যার ওপর শুনানি নিয়ে সেদিন চেম্বার বিচারপতি হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে দেন। এরপর থেকে বর্তমান কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

স্থগিতাদেশের পর হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি, যা সোমবার আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় ওঠে।