সোমবার এ সংক্রান্ত ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিল-২০১৬’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ৩ মে বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের সীমা দুই কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন কোটি টাকা করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এর প্রয়োগ আরও সহজতর করার লক্ষ্যে পণ্য, বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা, আউটসোর্সিংসহ ভৌত সেবার সংজ্ঞা অধিকতর স্পষ্টকরণ এবং ডোমেস্টিক প্রেফারেন্স সংক্রান্ত ধারার অস্পষ্টতা দূর করে বুদ্ধিভিত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ে কার্যসম্পাদন জামানত প্রবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়া সীমিত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ের সীমা দুই কোটি হতে তিন কোটি টাকায় উন্নীতকরণ, উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির অভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য থেকে উল্লেখযোগ্য কম/বেশি পরিমাণের দরপত্র মূল্য উদ্বৃত করার প্রবণতাবোধে কোনো দরপত্র দাতা কর্তৃক দরপত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলনের ১০ শতাংশ এর অধিক কম বা অধিক বেশি দর উদ্ধৃত করা হলে দরপত্র বাতিলের ব্যবস্থা প্রবর্তন, আন্তর্জাতিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে একধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতির প্রবর্তন, চুক্তি স্বাক্ষরের ধারা, প্রস্তাব প্রক্রিয়ার পরিসম্পাতির ধারা এবং অযোগ্য ঘোষণার ধারা স্পষ্টীকরণ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিলে বলা হয়, ক্রয়কারী, কৃতকার্য পরামর্শকের সহিত চুক্তি স্বাক্ষরের পর, অন্যান্য সকল আবেদনকারী বা পরামর্শকের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের পর, অন্যান্য সব আবেদনকারী বা পরামর্শককে তাদের অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করবে।