গত ২০ জুলাই নিখোঁজ ২৬১ জনের তালিকা দেওয়ার পর গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে অনেকের সন্ধানই পাওয়া যায়। এদের কেউ কর্মস্থলে, কেউ বাড়িতে, আবার কাউকে কারাগারেও পাওয়া যায়।
এরপর সোমবার ওই তালিকা হালনাগাদ করে ৬৮ জনের নিখোঁজের নতুন তালিকা গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে র্যাব।
অর্থাৎ ২৬১ জন থেকে নিখোঁজের সংখ্যা ১৯৩ জন কমেছে, শতকরা হারে তা ৭৪ ভাগ।
র্যাব বলেছে, গত ২০ জুলাই ২৬১ জনের তালিকা প্রকাশের পর অনেক নিখোঁজ ব্যক্তিবর্গ তাদের পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন বলে তথ্যে পাওয়া যায়।
“দেশব্যাপী র্যাব কর্তৃক সর্বশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে অদ্যাবধি ৬৮ জন নিখোঁজ ব্যক্তির (বয়স ১৫-৪০ বছর পর্যন্ত) হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়।”
হালনাগাদের কাজ ‘একটি চলমান প্রক্রিয়া’ উল্লেখ করে র্যাব বলেছে, এই তালিকা প্রকাশের পর কোনো ব্যক্তি যদি পরিবারের কাছে ফিরে আসেন অথবা তালিকার বাইরের কারও নিখোঁজ থাকার কথা কারও জানা থাকে তাহলে ০১৭৭৭৭২০০৭৫ নাম্বারে যোগাযোগ করতে হবে।
নিখোঁজ যারা
গাজীপুরের আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. মহিবুর রহমান (৩০), ঢাকার ভাটারার তৌহিদ রউফের ছেলে মো, সাজ্জাদ রউফ অর্ক (২৪), গুলশানের মৃত মেজর ওয়াসিকুর আহমদের ছেলে ডা. আরাফাত হোসেন তুষার, নীলক্ষেতের মৃত সফিউর রহমানে ছেলে তাহমিদ রহমান সাফি (৩০), আদাবরের মো. রওশন আলী খাঁনের ছেলে খাঁন মো. মাহমুদুল আহসান রাতুল (২৩), ধানমন্ডির মো ওয়াহিদুর রহমানের ছেলে জুন্নুন শিকদার (৩০), কলাবাগানের মৃত কাজী মুস্তাইন শরিফের ছেলে কাজী মো. মইনউদ্দিন শরিফ (৩০), ধানমন্ডির ডা. মো. আজমল হোসেনের ছেলে মো. তাওসীফ হোসেন (২৩), ধানমন্ডির বজলুর রহিমের ছেলে জুবায়েদুর রহিম, বসুন্ধরার মনির হোসেন খানের ছেলে ইব্রাহিম হাসান খান (৪৫) ও জুনায়েদ হাসান খান। তাদের দুজনের গ্রামের বাড়ি মিরপুরের কুষ্টিয়ায়।
এছাড়া ঢাকার মিরপুরের মো. শাহদাতের ছেলে এএসএম ফারহান হোসেন (২৯), মিরপুরের মৃত মাহবুবুল হকের ছেলে মনোয়ার হোসেন সবুজ, ডিওএইচএসের সাবেক সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার ছেলে আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মো. মতিউর রহমানের ছেলে মো. বাদশা আলী (২৫), শিবগঞ্জের মো. রমজান আলীর ছেলে মো. সুমন (২৮), শিবগঞ্জের মো. রফিকুল্লাহ আনসারীর ছেলে নজিবুল্লাহ আনসারী (২৭), রাজশাহীর মতিহারের মো. বাবর আলীর ছেলে মো. আশিক ওরফে সাব্বির রহমান (১৬), তনোর মো. সিরাজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো.বাশারুজ্জামান ওরফে আবুল বাশার, বাগমারার মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম, ঢাকার ইব্রাহিমপুরের শেখ আব্দুল্লাহ বিন আকবরের ছেলে রাহাত বিন আব্দুল্লাহ (২৬), মুগদার তবিবার মোল্লার ছেলে বেলাল মোল্লা সোহেল (২২), ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মাজেদুল হক (৩৫), যশোরের মনিরামপুরের গফুর বিশ্বাসের ছেলে আমান উল্লাহ আমান (২৪), মনিরামপুরের আক্কাস সরদারের ছেলে মো. কামরুজ্জামান (২৩), মনিরামপুরের লুৎফুর গাজীর ছেলে মো. সাহারাত আলী (২৬), মনিরামপুরের মুজাম দফাদারের ছেলে হাসানুর রহমান আসানুর, মনিরামপুরের জলিল মোড়লের ছেলে ইকবাল হোসেন (২৯), মনিরামপুরের আব্দুল মতিন মোড়লের ছেলে মো. তহিদুল ইসলাম (২০), আজব আলীর ছেলে হাসান আলী (৩৭), মৃত কালাচাঁদের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৭), সুলতান দফাদারের ছেলে সুমন হোসেন, ফেনীর তবে বর্তমানে ভারত মুম্বাই মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে রাশেদ হোসেন (২৫), চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহজাহান (৩৩), বরিশালের (বর্তমানে মালয়শিয়া) মেহেদীগঞ্জের রহিম শাহ ছেলে জুবায়ের হোসেন ফারুক (২১), সিলেট কানাইহাটের আমান উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী (৩৮), বিয়ানীবাজারের (বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছে বলে জানা যায়) শফি আহমেদ চৌধুরীর ছেলে তামিম আহমেদ চৌধুরী (৩১), ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মো. শাহজাহানের ছেলে জাকির হোসেন (২৮), সূত্রাপুরের আব্দুল মালেকের ছেলে আশরাফুজ্জামান (৩২), চকবাজারের আব্দুল হাকিম খানের ছেলে মো. শাহরিয়ার খান ওরফে শাহজাহান (৩৩), লালবাগের মো. মাসুমের ছেলে সাদমান হোসেন (পাপন), যাত্রাবাড়ীর মো. আব্দুল কালাম বিশ্বাসের ছেলে মো. আকরাম হোসেন (২৫), ওয়ারীর মৃত মান্নান শেখের মো. জুলহাস শেখ (৩২), নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের মো. অলিউল্লাহের ছেলে মো. হাবিবুল্লাহ (২৬), কুমিল্লার বরুরার আব্দুল হাশেমের ছেলে জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (২৬), ঢাকার পল্লবীর আব্দুল বাতেন মোল্লার ছেলে মো. ইমরান (২২), লক্ষীপুরের মৃত আব্দুল্লা ভূঁইয়ার ছেলে এটিএম তাজ উদ্দিন (৩৬), নোয়াখালীর চাটখিলের মো. মাকছুদর রহমানের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (১৬), নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মো. জালানী মাতবরের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (২২), কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মো. চাঁদ আলীর ছেলে মো. মিন্টু রহমান ওরফে বৈরাগী মিন্টু (২৭), ভেড়ামারার জুলফিকার হায়দার সাগরের ছেলে মো. মারুজুক হায়দার জাহিন (১৭), মিরপুরের মো. জালাল উদ্দিন প্রাণানিক মো. মহিদুল ইসলাম ওরফে মিশুক (১৭), সিরাজগঞ্জের উল্লা পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রকিবুল ইসলাম রিয়েল (২৪), গাইবন্ধার হালিম উদ্দিন সরকারের ছেলে মো. মিন্টু মিয়া (৩৫), রংপুরের কোতয়ালীর উসমান গণির ছেলে মো. রেজাউল করিম (২৬), কোতয়ালীর মোহবুবুর রহমানের মো. ইকবাল হোসেন (২০), নেত্রকোনার কেন্দুয়ার মো. আব্দুর রবের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৫), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া মোহাম্মদ আলীর ফকিরের ছেলে মো. মকসুদ আলী (২৫), ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগরের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. আব্দুল হামিদ (৩০), সুনামগঞ্জের মো. হাবিুবর রহমানের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন (১৫), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার মো. আব্দুল জলিলের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (১৬), ফুলবাড়িয়ার নয় নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হোসেনের ছেলে মো. শাখাওয়াত হোসেন (২৮), ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগরের জনাদন দেন নাথের ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজকি ওরফে সুজিত দেবনাথ, ঢাকার খিলগাঁও (বর্তমানে সম্ববত তুরস্ক) আলী আহমেদের জামাতা ডা. রোকনুদ্দীন খন্দকার (৫০), তার স্ত্রী নাঈমা আক্তার, মেয়ে রেজওয়ানা রোকন (২৩), রামিতা রোকন (১৭) ও জামাতা সাদ কয়েস (৩০)।
৬৮ জনের মধ্যে ৬১ জনের ছবিও প্রকাশ করেছে র্যাব। এদের মধ্যে ৭ নম্বর ক্রমিকের কাজী মো. মইন উদ্দিন শরিফ, ১১ নম্বর ক্রমিকের জুনায়েদ হাসান খান, ১৬ নম্বর ক্রমিকেরে মো. সুমন , ১৭ নম্বর ক্রমিকের আশিক হোসেন ওরফে সাব্বির রহমান, ৩৫ নম্বর ক্রমিকের জুবায়ের হোসেন ফারুক, ৪৪ নম্বর ক্রমিকের মো. হাবিবুল্লাহ ও ৫৫ নম্বর ক্রমিকের মো. রেজাউল করিম এই সাতজনের ছবি নেই।