সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে ‘নতুন পদ্ধতিতে জিডি করার জন্য পুলিশের তৈরি’ ‘জিডি বই’য়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
কেউ নিখোঁজ হলে, কিছু হারানো গেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান নাগরিকরা। এছাড়া কোনো অপরাধমূলক ঘটনার ক্ষেত্রে প্রমাণ না পেলে প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্যও তা জিডি হিসেবে নেয় পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “দেশের আইন অনুযায়ী জিডি একটি ডকুমেন্ট। জিডি করতে গিয়ে নানা অভিযোগের কথা শুনে থাকি। যেমন পুলিশের অসহযোগিতা, পুলিশের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার প্রতিবন্ধকতা এবং জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে ব্যবধান।
“জিডি নিয়ে ইচ্ছাকৃত বিড়ম্বনা সৃষ্টি করলে ও জনগণকে বিড়ম্বনায় ফেললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
যে কোনো নাগরিক থানায় গিয়ে যেন দ্রুততম সময়ে বিড়ম্বনা ছাড়াই জিডি করতে পারেন, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনেকদিন ধরে ভাবা হচ্ছিল বলেও জানান আছাদুজ্জামান।
“সরকার থেকে জিডির কপি বিনা পয়সায় থানায় দিলে কোনো বিড়ম্বনা ছাড়াই জনগণ জিডি করতে পারবে। এক্ষেত্রে কেউ নিজে জিডি লিখে নিয়ে এলে সেখানে নম্বর বসিয়ে তা জিডি হিসেবে রাখা যাবে।”
এবার বাংলাদেশে প্রথম ফটোকার্বনসহ জিডি বই থানায় দেওয়া হল বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। এতে ঢাকার ৪৯টি থানার পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে থানা পুলিশের সেবার মান আরও বাড়াতে সহকর্মীদের নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার ।