এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর তালিকায় আসবে বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার ওয়াপদা খালের জমির দখল নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের অনুলিপি যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এক আইনজীবী গত ১৩ মার্চ জনস্বার্থে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৪ মার্চ হাই কোর্ট রুল জারির পাশাপাশি অন্তবর্তীকালীন আদেশে ওই খাল এলাকা জরিপ করে অবৈধ স্থাপনা বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়।
এই নির্দেশনার পর জরিপ কাজ পরিচালনার জন্য বেলকুচির সহকারী কমিশনারকে (এসি ল্যান্ড) আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে জেলা প্রশাসন। ওই জরিপ প্রতিবেদন গত মাসে আদালেতে জমা পড়ে, যার ওপর সোমবার শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেয়।
আদালতের রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওয়াপদা খাল এলাকার চারটি মৌজায় (সাবনপাড়া, চালা, মুকন্দগাতী ও ক্ষেত্রমাটিয়া) মোট ৩০২টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে বলে ওই জরিপের প্রতিবেদনে এসেছে।
হাই কোর্ট ষাট দিনের মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, বেলকুচি থানা নির্বাহী কর্মকর্তা, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও এসি ল্যান্ডকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।