দ্রুত বিচারের নিষ্পত্তি ৬ বছরেও হয়নি কেন: হাই কোর্ট

দুই যুগের বেশি সময় আগের একটি হত্যা মামলা দ্রুত বিচারে আসার পর ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও কেন তার নিষ্পত্তি হয়নি, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে হাই কোর্ট।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 11:46 AM
Updated : 25 July 2016, 11:46 AM

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগমকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ওই মামলার এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।

এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৪ অগাস্ট দিন রেখেছে আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার আহসান হাবিব।

মনিরুজ্জামান কবীর পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ময়মনসিংহের আদালত থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি গ্রহণ করার পর ছয় বছর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এর নিষ্পত্তি হয়নি।

“আইন অনুযায়ী, মামলাটি গ্রহণ করার ১৩৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার কথা। তা না হলে এটি ফেরত যাবে; কিন্তু তাও হয়নি। এসব বিষয়ে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগমকে দুই সপ্তাহের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা জানাতে বলেছে হাই কোর্ট।”

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে পূরবী সিনেমা হল সংলগ্ন ফ্রিডম পার্টির অফিসের সামনে খেচু মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে হারুনুর রশিদ নামের এক কাঁচামালের আড়তদার গুলিতে নিহত হন। পরদিন ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তার ভগ্নিপতি মোশারফ হোসেন বাবুল। 

পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়। ২০১০ সালে ১০ জুলাই শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। প্রসিকিউশনের ৭৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য।

ওই মামলায় ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন আসামি আব্দুর রশিদ। তিনি নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করলে গত ২ জুন তা খারিজ হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন রশিদ, যা সোমবার শুনানির জন্য ওঠে। 

শুনানি নিয়ে আদালত আব্দুর রশিদের জামিন প্রশ্নে রুল দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারকের ব্যাখ্যা জানাতে চেয়ে আদেশ দেয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান জানান, আবেদনকারীকে (রশিদ) কেন জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।