জঙ্গিবাদী হামলায় দেশীয় সন্ত্রাসীরা: বার্নিকাট

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, যেসব দেশে জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে তা বাইরে থেকে আসা লোক নয়, দেশীয় সন্ত্রাসীরাই চালাচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 11:11 AM
Updated : 25 July 2016, 11:15 AM

সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবনে মেয়র সাঈদ খোকনকে নগর নিরাপত্তা বিষয়কে এক সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন তিনি।

গুলশান হামলায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের দায় স্বীকারের খবর এলেও সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলে আসছে, দেশে বেড়ে ওঠা জঙ্গিরাই নজিরবিহীন ওই হামলা চালায়।

নগর ভবনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “সব দেশেই এ ধরনের হামলা দেশীয় সন্ত্রাসীরা করছে। আমরা দেখছি, যারা সন্ত্রাসী কাজ করছে, তারা দেশের বাইরে থেকে আসছে না।

“লোকজন আমাকে বাংলাদেশে হামলার সম্পর্কে বলেছে। আমি মনে করি, আমার মনে হয়, এটা বাংলাদেশি সংস্কৃতি, রাজনীতি ও ধর্ম নয়। কিছু লোক এখানকার মানুষকে এ বিষয়ে প্রভাবিত করছে। আমাদের এবং আপনাদের সরকারকে তাদের চিহ্নিত করে দমন করতে হবে।”

মার্কিন রাষ্ট্রদূত এর আগে মেয়র খোকনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদমুক্ত অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

সাক্ষাৎ শেষে মেয়র খোকন সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ‘স্ট্রং সিটি সেইফ সিটি’ শীর্ষক একটি সম্মেলনে তাদের দাওয়াত করতে এসেছিলেন।

“আমরা বলেছি, বাংলাদেশের মানুষের মনে মৌলবাদের কোনো স্থান নেই। যেসব ঘটনা ঘটেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার মূল উৎপাটন করতে সক্ষম হব। এ বিষয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে মৌলবাদের ব্যাপক উত্থান ঘটবে- এমন আশঙ্কা ছিল না, থাকবেও না।”

জঙ্গিবাদ-মৌলবাদমুক্ত অসম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, “এই প্রক্রিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন, বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”

নগরীকে অধিক নিরাপদ রাখার ভাবনা বিনিময়ে আয়োজিত ‘স্ট্রং সিটি নেটওয়ার্ক’ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাতে নগর ভবনে আসার কথা জানিয়ে বার্নিকাট সাংবাদিকদের বলেন, “অভিন্ন যেসব চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবেলা করছি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অংশীদার হিসেবে দেখে।

সন্ত্রাসবাদকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে মার্শা বার্নিকাট বলেন, “নিজস্ব বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক থাকায় কোনো দেশ একা একা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার চেষ্টা করলে তার পক্ষে সফলতা পাওয়া খুবই কঠিন।

“যারা আমাদের প্রচেষ্টার সমালোচনা করছেন, যারা মনে করছেন আমরা বাংলাদেশকে দখল করতে চাইছি- আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, শক্তিশালী স্থিতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ শুধু বাংলাদেশের জন্যই ভালো নয়, সব দেশের জন্যই ভালো। আমরা শুধু বাংলাদেশকে ক্লু খুঁজে বের করতে সাহায্য করতে চাই।”