যারা নীলনকশা করেছে তাদের তথ্য পেয়েছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গুলশান, শোলাকিয়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার ‘নীলনকশা’ তৈরিতে যারা কাজ করেছে, তাদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 10:07 AM
Updated : 25 July 2016, 02:22 PM

সোমবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি বলেন, “জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সবাইকে আমরা চিহ্নিত করেছি। বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া তারা আর কিছুই করতে পারবে না।

“সবগুলো ঘটনার পেছনে কারা এবং কীভাবে ঘটিয়েছে এটা চিহ্নিত। এই সমস্ত ঘটনায় যারা ষড়যন্ত্র করেছে, নীলনকশা করেছে, আমাদের কাছে তাদের তথ্য এসে পড়েছে। এদেশে তাদের স্থান হবে না।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের উৎসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া গুলশান হামলার নেপথ্যে থাকা কয়েকজনের পরিচয় জানার কথাও বলেন আইজিপি।

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। পরদিন সকালে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী ৫ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে।

এর এক সপ্তাহের মাথায় ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে হামলায় নিরাপত্তার চৌকিতে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন; পরে পুলিশের অভিযানে গোলাগুলির মধ্যে স্থানীয় এক নারীর মৃত্যু হয়, নিহত হন এক সন্দেহভাজন হামলাকারী। 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিউ প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি হামলা এবং বাংলাদেশে হামলার প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

“বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমাদের দেশের হামলার প্রেক্ষাপটের মিল নেই। আমরা কোনো ধর্মের উপর, কোনো সম্প্রদায়ের উপর আঘাত দিই নাই। তবে কেন এই আত্মঘাতী হামলা?”

একটা গোষ্ঠী যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করছে মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, তাদের বোঝানোর সময় এসেছে।

গুলশানের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা অবাক দৃষ্টিতে দেখলাম, যারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত তারা এর সঙ্গে জড়িত। এটা আমাদের সামনে একটি ভিন্ন মোটিভ নিয়ে আসছে।”

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, “দেশের সকল জঙ্গি হামলা ও গুপ্তহত্যার তথ্য-উপাত্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে চলে এসেছে। তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।”

“এই সকল ঘটনার জন্য দু’টি রাজনৈতিক দল দায়ী। একটি হচ্ছে বিএনপি, অপরটি জামায়াতে ইসলাম। তারা সরকারের পতন ঘটাতে করতে না পেরে গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।”

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বক্তব্য দেন।