পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা সংলগ্ন নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ; গঙ্গা-পদ্মা সংলগ্ন রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং সুরমা-কুশিয়ারা সংলগ্ন সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কেন্দ্রের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ (সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) অনুযায়ী, দেশের নদনদীগুলোর ৯০টি পয়েন্টের মধ্যে ১৭টিতে পানি বিপদসীমার ওপরে বইছে।
ধরলা নদী কুড়িগ্রামে, তিস্তা নদী ডালিয়ায়, ঘাঘট নদী গাইবান্ধায়, ব্রহ্মপুত্র চিলমারীতে, যমুনা বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জে, গুর নদী সিংড়ায়, আত্রাই নদী বাঘাবাড়িতে, ধলেশ্বরী এলাসিনে, পদ্মা গোয়ালন্দ ও সুরেশ্বরে, সুরমা নদী কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জে, কংস নদী জারিয়াজঞ্জাইলে ও তিতাস নদীর পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পয়েন্টে বিপদসীমার দুই থেকে ১০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
“ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে আরও দুই দিন উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে বুধবার পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে, তবে মঙ্গলবারের পর সুরমা-কুশিয়ারায় পানি কমতে পারে,” বলেন তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী তিনদিন বৃষ্টিপাত থাকতে পারে।
মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ স্থানে এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণও হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, “উত্তরের বন্যায় কয়েক লাখ লোক পানিবন্দি রয়েছে। তাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।মাঠপর্যায় থেকে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য নিচ্ছি আমরা। বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও শুকনো খাবার সরবরাহের উদ্যোগ চলছে।”