টিটিসি: পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা পদ্ধতি জানতে চেয়েছে আপিল বিভাগ

দেশের সরকারি-বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোর সিলেবাস, পরীক্ষার মডিউল, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয় জানতে চেয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 05:21 AM
Updated : 25 July 2016, 07:27 AM

রাষ্ট্রপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।  

হাই কোর্টের এক রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানিকালে সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

পাশাপাশি লিভ টু আপিলের শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি রেখেছে আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল আমাতুল করীম। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে কর্মরত বিএড সনদহীন শিক্ষক/শিক্ষিকাদের সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা জানিয়ে ২০০৮ সালের ১৫ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করে।

এতে বলা হয়, দেশে ১৪টি সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ রয়েছে। কলেজগুলোর বিএড কোর্সে আসন সংখ্যা ৭ হাজার ২১৫ হলেও ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে মোট ১ হাজার ৬৫৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।

এরপর বিএড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিরুল ইসলামসহ অন্যরা ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৬ জুলাই হাই কোর্ট রুল দেয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১১ জুলাই হাই কোর্ট রুল আংশিক যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা সোমবার শুনানির জন্য ওঠে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক করার আদেশে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধিকার খর্ব হয়েছে বলে যে রায় হাই কোর্ট দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়েছে।

“শুনানিতে আপিল বিভাগ দেশের সরকারি-বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোর সিলেবাস, পরীক্ষার মডিউল, তদারকি ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয় তা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।”

দুই সপ্তাহ পরে বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আসবে বলে জানান তিনি।