শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঈনুল খান জানান, নীল রংয়ের জার্মানির তৈরি ফোক্সভাগেন গল্ফ এস মডেলের গাড়িটি গত ৮ মার্চ মংলা বন্দর দিয়ে খালাস করা হয়। সিএন্ডএফ এজেন্ট এসটি ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে সেটি খালাস হয়।
ঢাকার হাজারীবাগের মেসার্স বে ট্যানারির নামে বিআরটিএ থেকে গাড়িটির নিবন্ধন নেওয়া হয়।
ওই ট্যানারির পক্ষ থেকেই রোববার কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে গাড়িটি হস্তান্তর করা হয় বলে মঈনুল খান জানান।
গাড়িটি দীর্ঘদিন শুল্ক গোয়েন্দাদের নজরদারিতে ছিল বলেও জানান তিনি।
মিথ্যা ঘোষণায় আনা এই গাড়ির আমদানিকারক হিসেবে ঢাকার ১০৫ কাকরাইলের টিবিএইচ কোম্পানির নাম রয়েছে। আমদানির বিল অব এন্ট্রির তারিখ গত ১১ ফেব্রুয়ারি।
এতে ইনভয়েস মূল্য দেখানো হয়েছিল ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৩ টাকা, সিসি ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ১৩৯৮। সে হিসাবে ১২৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ শুল্ক ধরে মোট ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯৪ টাকা শুল্ক পরিশোধ করা হয়।
“তবে তদন্তে দেখা যায়, ইউকে রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী সিসি ১৯৮৪। সে হিসাবে শুল্ক হার প্রযোজ্য হবে ২১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং মোট শুল্ক হবে ৪২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এতে শুল্ক ফাঁকি হয়েছে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা,” বলেন মঈনুল খান।