ইকবালের ছেলেকে নিয়ে হাই কোর্টের রুল

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবালের ছেলেকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে অপসারণ এবং দুর্নীতি মামলায় তার দণ্ড ভোগ কেন হচ্ছে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2016, 06:20 PM
Updated : 24 July 2016, 06:20 PM

এক রিট আবেদেনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ সম্প্রতি এই রুল দেয়।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১১ মার্চ দুদকের মামলায় ইকবালের স্ত্রী মোমতাজ বেগম ডলি, মেয়ে নওরিন ইকবাল এবং ছেলে মইন ইকবাল ও মোহাম্মদ ইমরান ইকবালকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।

বিচারিক আদালতের ওই রায় বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ থেকে ‘অযোগ্য পরিচালক’ ইমরানকে অপসারণের আবেদন নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের নিষ্ক্রিয়তা কেন কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, অন্য রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

রোববার প্রিমিয়ার ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ১২ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদে এইচ বি এম ইকবাল চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। ছেলে ইমরান রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

রিট আবেদনকারী সোহাগ তালুকদার ব্যাংকিং কোম্পানি আইন-১৯৯১’র ১৫(৬)(২) ধারা অনুসারে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে ‘অযোগ্য পরিচালক’ ইমরানের অপসারণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় রিট আবেদনটি করেন সোহাগ, যার উপর হাই কোর্টের রুল আসে।

হাই কোর্টের আদেশের অনুলিপি এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, যা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে রয়েছে।

গত ১৮ জুলাই দেওয়া এই রুলের জবাব চার সপ্তাহের মধ্যে ১৪ বিবাদীকে দিতে বলেছে আদালত।

এদের মধ্যে রয়েছেন- আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১, পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশের ঢাকার উপমহাপরিদর্শক, পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট উপকমিশনার, গুলশান থানার ওসি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বিবাদীদের মধ্যে ইকবালের পরিবারের চার সদস্যও রয়েছেন। তারা হলেন ইকবালের স্ত্রী মোমতাজ বেগম ডলি, মেয়ে নওরিন এবং ছেলে মইন ও ইমরান।

আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন ওবায়দুর রহমান মোস্তফা, মোহাম্মদ আনওয়ারুল ইসলাম ও কামরুন নহার মাহমুদ দ্বীপা।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা ইয়াসমিন ও সালমা রহমান।