অ্যাটর্নি জেনারেলই জঙ্গি মামলায় সেল করতে পারেন: আইনমন্ত্রী

জঙ্গিদের জামিন ঠেকাতে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজেই সেল গঠন করতে পারেন বলে মত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2016, 10:07 AM
Updated : 24 July 2016, 11:39 AM

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে এসে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

জামিন নিয়ে বেরিয়ে জঙ্গিদের ফের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার তথ্য প্রকাশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গত ১৯ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, “একটা কো-অর্ডিনেশন সেল থাকা দরকার। শুধু তাদের (জঙ্গি) ব্যাপারে পর্যালোচনা করার জন্য। সেই সেলকে অফিসে বসে থাকলে হবে না, তাদের অনবরত যোগাযোগ করতে হবে পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের সাথে, আমাদের সাথে অর্থাৎ অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সাথে।”

বর্তমানে ‘চালাকি’ করে জঙ্গিরা বিভিন্ন মামলায় জামিন নিচ্ছে মন্তব্য করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সেল গঠন হলে তা বন্ধ করা যাবে।

“একেবারে কম্পিউটারে তাদের নাম থাকা উচিৎ। প্রত্যেকটি জেলায় যারা পিপি আছেন, তারা যাতে কম্পিউটারে বোতাম টিপলেই সেসব নাম পান। আমার অফিসেও এরকম থাকা উচিৎ, যাতে বোতাম টিপলেই কোন জেলায় সন্ত্রাসের মামলায় কে কে আছে এবং তাদের জামিন কখন হয়েছে বা তাদের জামিন আবেদন কখন করা হয়েছে।”

অ্যাটর্নি জেনারেল প্রস্তাবিত ওই সেল গঠনের বিষয়ে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী রোববার বলেন, “উনি নিজেই কিন্তু এই সেলটা তৈরি করতে পারেন, তার অফিসে। উনার (অ্যাটর্নি জেনারেল) দপ্তরে পর্যাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আছেন।

“আমি উনার সঙ্গে কথা বলব, একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে উনার অফিসে সেল করতে পারেন। যাতে উনি তথ্য পেতে পারেন।” 

অ্যাটর্নি জেনারেল সেদিন বলেছিলেন, “অনেক জঙ্গি নানা রকম চালাকির সুযোগ নিচ্ছে। দরখাস্তে লিখছে ১৭ নম্বর কোর্টে মুভ (মামলা নিয়ে যাবে) করবে। কিন্তু মুভ করছে গিয়ে ১৩ নম্বর কোর্টে। ফলে আমার ওই অফিস, ওই কোর্ট এটা জানতে পারে না। যদি সেল সবসময় ট্র্যাক করতে থাকে, কোন জঙ্গি কোন কোর্টে মামলা নিয়ে মুভ করল এবং ইমিডিয়েটলি যদি আমাকে জানানো হয়, তাহলে আমরা বা আমার সহকর্মীরা প্রবলভাবে বাধা দিতে পারি।”

জঙ্গিদের জামিন এড়াতে মামলা লেখায় পুলিশের আরও সচেতনতার উপর জোর দেন মাহবুবে আলম। 

তিনি বলেন, “যখন এজাহার করা হয়, সেটা যদি ঠিকমতো করা না হয়, ……তাদের থেকে কী কী আলামত পাচ্ছে, সেটা যদি সঠিকভাবে না উল্লেখ করা হয় বা চার্জশিট যদি ঠিকমতো না দেওয়া না হয়, তাহলে তার ফাঁক-ফোকরেই তারা বেইলের (জামিনের) সুযোগ নিচ্ছে।”

পরিদর্শনকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ট্রাইব্যুনালের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। দ্রুত তা মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবারই কাজ শুরু হবে।