ডিসি সম্মেলন শুরু ২৬ জুলাই

মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে রাজধানীতে চলতি বছরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2016, 09:06 AM
Updated : 24 July 2016, 12:13 PM

চার দিনের এই সম্মেলনে এবার ১৮টি কার্য-অধিবেশনে ৩৩৬টি প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা সম্মেলন কক্ষে হবে বিভিন্ন অধিবেশন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিরা যেসব প্রস্তাব করেছেন, সেগুলো নিয়ে সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

“ডিসিরা মাঠ পর্যায়ে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, সেগুলো ছাড়াও বিদ্যমান সম্ভাবনা সম্পর্কে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিবদের উপস্থিতিতে আলোচনা করে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলয় দিক নির্দেশনা পাবেন।

“এটা মাঠ প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। নাগরিক সেবাগুলো কীভাবে আরও দ্রুত করা যায় সে বিষয়েও নির্দেশনা পাবেন তারা।”

এবার ৩৯টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ৩৩৬টি প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে জানিয়ে শফিউল বলেন, সবচে বেশি, ২৭টি প্রস্তাব এসেছে ভূমি মন্ত্রণালয় বিষয়ে। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ২৫টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাধারণত তিন দিন ধরে ডিসি সম্মেলন হলেও বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ইনোভেশন সামিট উদ্বোধন করবেন বলে ওই দিন আধাবেলা সময় ছেড়ে দিতে হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ওই সেশনগুলো শুক্রবার হবে।

সম্মেলনে ১৮টি কার্য-অধিবেশনের বাইরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের সৌজন্য সাক্ষাত, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে আলোচনা ছাড়াও একটি সমাপনী অধিবেশন থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষরণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে বলে জানান তিনি।

২০১৩ সালের ডিসি সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৯২ শতাংশ জানিয়ে শফিউল বলেন, ২০১৪ সালের ৯৩ শতাংশ এবং ২০১৫ সালের ডিসি সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্তের ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।