সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি এবং ‘কোর’ কমিটিগুলোকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
আগামী মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন উপলক্ষে রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
পহেলা জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপর ৭ জুলাই ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়ও সন্ত্রাসী হামলা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “সাম্প্রতিক গুলশান হত্যাকাণ্ড ও শোলাকিয়ার হামলা প্রচেষ্টার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ সতর্ক করেছি। তাদের একাধিক পত্র দিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কোর কমিটি এবং মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি যেন আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করা হয়।”
বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা কোর কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন জানিয়ে শফিউল বলেন, বিভাগ পর্যায়ে ‘সঙ্কটের সময়’ বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে কোর কমিটির সভা হয়। সেখানে পুলিশের ডিআইজি, মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকা হয়।
২০১৩ সাল থেকে গঠন করা মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ওয়ার্ড ইউনিয়ন পর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি ‘সক্রিয়’ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি আশা করছেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে মন্ত্রীরাও সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে কথা বলবেন।
রাজনৈতিক নেতাদের ‘হস্তক্ষেপে’ এসব কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এসব কমিটির কাজ করতে কোনো সমস্যা ফেইস করছি না। রাজনৈতিক নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে কোনো বাধা দেখিনি বা কোনো ঘাটতি নেই।”
কোর কমিটির সভায় এসপি অনেক সময় অংশ নেন না- এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোর কমিটিতে এসপি অংশ নেন, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অনেক সময় এসপি প্রতিনিধি পাঠান। কোর কমিটিতে প্রতিনিধি পাঠানোর সুযোগ নেই।
সরকারির কর্মচারীদের মধ্যে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টরা আছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এই মুর্হূতে আমরা বলতে পারছি না, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কনসাল করে বলতে হবে।”