গুলশান জঙ্গিদের লাশের নমুনা এফবিআইয়ের হাতে

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর অভিযানে নিহতদের মৃতদেহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা (এফবিআইর) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2016, 07:23 AM
Updated : 31 July 2016, 07:42 PM

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জানান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তদন্ত কর্মকর্তা শুক্রবার ভোরে এফবিআই প্রতিনিধির কাছে ছয় জনের নমুনা হস্তান্তর করেন।

“গুলশান হামলায় জড়িত পাঁচ জঙ্গি ও এক সন্দেহভাজনের নমুনার চুল ও রক্ত পরীক্ষার জন্য এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

গত বুধবার ওই ছয়জনের প্রত্যেকের দেহ থেকে দ্বিতীয় দফায় বিশ মিলিলিটার করে রক্ত ও ত্রিশটি করে চুল সংগ্রহের কথা বলেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।

দ্বিতীয় দফায় নমুনা সংগ্রহের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, “ময়নাতদন্ত করার সময় আমরা নিহতদের দেহ থেকে পাঁচ মিলিলিটার রক্ত, উরুর মাংস ও দাঁত রেখেছিলাম। কিন্তু কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট আরও কিছু নমুনা চেয়েছে।”

হামলাকারী পাঁচ তরুণ- নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি নামের ওই ক্যাফেতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে হামলাকারীরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। 

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সশস্ত্র বাহিনী অভিযান চালিয়ে ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সে সময় নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে জেএমবি সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

ওই ছয়জনের মধ্যে সাইফুল চৌকিদার নামে একজন ছিলেন ওই বেকারির পাচক। তিনিও ‘হামলাকারীদের সঙ্গে থেকে তাদের সহায়তা করেন’ বলে পুলিশের ধারণা।

গুলশান হামলার ঘটনায় পুলিশ যে মামলা করেছে, তার আসামির তালিকায় ওই ছয়জনেরই নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

হামলায় নিহত ১৭ বিদেশির মৃতদেহ তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদশি পাঁচজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে।

আর হামলাকারী ও সহযোগীতারকারী হিসেবে চিহ্নিত ছয়জনের লাশ এখনো ঢাকা সিএমএইচের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে।

হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিদল আইএস গুলশান হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে খবর এলেও বাংলাদেশ সরকার বলে আসছে হামলাকারীরা দেশীয় জঙ্গি।

অবশ্য আইএস জঙ্গিদের মত গুলশানের হামলাকারীরাও ক্যাপ্টাগন নামের মাদকে আসক্ত ছিলেন কি না, সে পরীক্ষাও করা হবে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ।