গত ১ জুলাই গুলশান-২ এর হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার পর ঢাকার অভিজাত এই এলাকার অননুমোদিত স্কুল, কলেজ ও হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
রাজউকের অথোরাইজড অফিসার মোহাম্মদ আদিলউজ্জামান মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঈদের পরই গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় অবস্থিত অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়।
রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আবদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসব প্রতিষ্ঠানের লিস্ট প্রায় ফাইনাল। এ সপ্তাহেই তা চূড়ান্ত করতে পারব।
“আগামী রোববার রাজউক তালিকাটি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে জমা দেবে।”
ওই বৈঠকেই অভিযান শুরুর দিনক্ষণ ঠিক করা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজউকের এই সদস্য।
প্রথমে হোটেল-রেস্তোরাঁ দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে জানান রহমান।
“সব প্রতিষ্ঠানই এর আওতায় আছে। তবে আমরা হোটেল-রেস্তোরাঁকে প্রায়োরিটি দিচ্ছি। এগুলো দিয়েই শুরু করব।”
হলি আর্টিজানে হামলায় ১৭ বিদেশিসহ অন্তত ২২ নাগরিক নিহত হন; এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী আলোচনায় এসেছে।
এ হামলার পর ঈদের ছুটি শেষে রোববারই প্রথম সরকারি অফিসে কাজ শুরু হয়। ওই দিন সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে গুলশানের ও এর আশপাশের এলাকায় অননুমোদিত সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকের পর শিল্পমন্ত্রী আমির হোসনে আমু সাংবাদিকদের বলেন, গুলশানের ‘রেসিডেনসিয়াল এরিয়ায়’ যত্র তত্র গড়ে ওঠা রেস্তোরাঁ, হসপিটাল, বিভিন্ন রকম স্কুল-কলেজলোকে তদারকির আওতায় আনা হবে। বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে এধরনের স্থাপনা যাতে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
“এবং উইদাউট পারমিশনে যেগুলো হয়েছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।”
এর আগে গত ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের এলাকায় আবাসিক প্লট ও ভবন থেকে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলো না সরালে সেগুলো উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।