হলি আর্টিজান দেখলেন বিসওয়াল

জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2016, 07:56 AM
Updated : 31 July 2016, 07:30 PM

আশপাশে পুলিশ পাহারার মধ্যে সোমবার সকালে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত ওই রেস্তোরাঁয় যান দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান এই ব্যক্তি। সেখানে তিনি প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করেন।

বাংলাদেশে নজিরবিহীন ওই হামলার পর সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করার প্রস্তাব দেওয়ার প্রেক্ষাপটে রোববার দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন বিসওয়াল।

সোমবার ঢাকা ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মি; যাদের মধ্যে ইতালির নয়জন, জাপানের সাতজন ও ভারতের এক নাগরিক ছিলেন। নিহত এক বাংলাদেশির যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিল।

গুলশানের ঘটনার সপ্তাহ না পেরুতেই বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের আগে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে জঙ্গিদের হামলা ও গোলাগুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।

রোববার ঢাকা আসার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুলের হকের সঙ্গে বৈঠকে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন বিসওয়াল।

এরপর বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের সঙ্গেও তার বৈঠক হয়েছে তার। এর আগে মে মাসে সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান খুন হওয়ার পরও ঢাকা এসে শ্রিংলার সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

বিদেশিদের কাছে জনপ্রিয় গুলশানের ওই রেস্তোরাঁয় হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের দায় স্বীকারের খবর এসেছে। শোলাকিয়ার ঘটনার দায় কারও স্বীকারের খবর আসেনি।

তবে আইএস নয়- দুই ঘটনায়ই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি জড়িত বলে পুলিশ বলছে।

গুলশান হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে জঙ্গি দমনে যে কোনো সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও তাকে ফোন করে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষ থেকে শোক ও সমবেদনা জানান। জঙ্গিবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশকে যে কোনো সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলেও হাসিনাকে জানান কেরি।

গুলশানের ওই ঘটনার পর বাংলাদেশে সমন্বিত কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি ও জাপান।