রাজধানীতে চলাফেরায় কড়াকড়ি

গুলশান এবং শোলাকিয়ার ঘটনার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2016, 04:27 PM
Updated : 10 July 2016, 02:10 AM

রাজধানীর গুলশান, বনানী, তেঁজগাও শিল্পাঞ্চল, ভাটারা, রমনা, বারিধারা এলাকায় শনিবার কড়া নিরাপত্তার দেখা মিলেছে।

হঠাৎ করে নিরাপত্তা জোরদার করায় অনেকেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কার্যালয়ে ফোন করে এর কারণ জানতে চেয়েছেন। কারো কারো মনে সংশয়- নতুন করে কিছু ঘটেছে কিনা। 

এ বিষয়ে জানতে আলাদা আলাদাভাবে যোগাযোগ করা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে।

ভাটারা থানার ওসি নুরুল মোত্তাকীন বলেন, “ভাটারা এলাকায় যমুনা ফিউচার পার্ক রয়েছে। সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে।

“তাই ওই এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদার করা হয়েছে।”

সরেজমিনেও কড়াকড়ির চিত্র দেখেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদকরা।

উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সুমন মাহবুব জানান, সন্ধ্যার পর ওই এলাকায় চলাচলরত বাসিন্দাদের নাম-পরিচয় জেনে তারপর যেতে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।

কোথায় যাবেন, কখন ফিরবেন- বাসিন্দাদের অনেককেই এই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে রমনা এলাকায় দেখা গেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসের প্রবেশপথ ও অফিসার্স ক্লাবের প্রবেশ পথে রমনা পার্ক যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।

পুলিশের রমনা জোনের উপ কমিশনার শাহ মিজান সফিউল রহমান বলেন, গুলশানের হামলার পর থেকেই রমনার বিভিন্ন প্রবেশপথে পুলিশ নিরাপত্তার প্রয়োজনে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।

নিকেতনের প্রবেশ পথের চারটি গেইটের একটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, “সেখানে নিরাপত্তার প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। গুলশানে প্রবেশ পথগুলোতে অন্তত ১৫/১৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

ওই এলাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকা মোটরসাইকেল আরোহী আশরাফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছেন। তারা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাইছেন।”

এর আগে গত বছরের শেষদিকে গুলশানে বিদেশিকে হত্যার পর ওই এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করেছিল পুলিশ।

তবে এলাকার কারো কারো অভিযোগ, সেসময় পুলিশ কয়েকদিন সক্রিয় থাকলেও কয়েকদিন পরই চিত্র পাল্টে যায়।

নিরাপত্তার কড়াকড়ি দেখা গেছে তেজগাঁও এলাকায়ও।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক মো. সেলিম মিয়া বলেন, “তেঁজগাও এলাকায় রাতে ৪টি তল্লাশি চৌকি ও দিনে ৩টা তল্লাশি চৌকি কাজ করছে। পুরো এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করছে।”

নাখালপাড়ায় আহমদিয়া মসজিদের সামনেও নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশের একটি দল দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান তিনি।