গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার তিন দিন পর মঙ্গলবার সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, “সকল প্রকার জঙ্গি প্রতিরোধে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এক্ষেত্রে প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতীম দেশসমূহের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আমরা আহ্বান করছি এবং গ্রহণ করব।”
বাংলাদেশ এরই মধ্যে গুলশানের ঘটনার তদন্তে একটি বন্ধুপ্রতীম দেশের সহযোগিতা নিচ্ছে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় দায়িত্বপালনরত বিদেশি কূটনীতিবিদদের সামনে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনের ‘অভিন্ন চ্যালেঞ্জ’ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের বলেন, সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এখন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। আর বাংলাদেশ এ বিষয়ে অন্যান্য দেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে চায়।
গত শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে ওই বেকারিতে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি; তাদের ঠেকাতে গিয়ে বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে হামলা এবং সকালের কমান্ডো অভিযানের বিবরণ তুলে ধরেন এবং হতাহতের সংখ্যা জানান।
ধর্মের দোহাই দিয়ে কোনো ‘অপশক্তি; যাতে তরুণদের ‘বিপথগামী করত ‘ না পারে এবং দেশের চলমান অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে- সে জন্য সকল অভিভাবক এবং দলমত নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “জঙ্গি সংগঠন তাদের হীন স্বার্থ কায়েমের জন্য শিক্ষিত কোমলমতি যুবকদের ধর্মের নামে বিপথগামী করছে এবং তাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শান্তির ধর্ম ইসলাম কখনো নিরীহ মানুষকে খুন করা সমর্থন করে না।”