রোববার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে হামলার নিন্দা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাহসিকতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সচেষ্ট হয়। বন্দুকধারীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিষ্ঠাবান অকুতোভয় বীর পুলিশ সদস্য শাহাদতবরণ করা ছাড়াও এ ঘটনায় ২০ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।”
পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক নিহদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান এবং আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
তিনি বলেন, নিহতদের বিরল আত্মত্যাগের কথা বাংলাদেশ পুলিশ চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে তাদের স্মরণ করবে। তাদের এ অনন্য অবদান ভবিষ্যতে প্রতিটি পুলিশ সদস্যের জন্য অনুকরণীয় ও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
দুজন সহকর্মীর হত্যাকাণ্ডের পরও প্রতিটি পুলিশ সদস্যের মনোবল দৃঢ় ও অটুট রয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, তারা দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে জঙ্গি দমনসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বদ্ধপরিকর।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সর্বস্তরের জনগণ এবং গণমাধ্যমের অব্যাহত সমর্থন ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ প্রধান।
পুলিশ সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আহতদের মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে ২৩ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন ভর্তি রয়েছেন।
গুরুতর আহতদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসান ও গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদও রয়েছেন।