শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযানে জঙ্গিদের হত্যা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর বিকালে লাশগুলো বের করা হয় এই ক্যাফের ভেতর থেকে।
এর আগে দুপুরে আইএসপিআরের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কমান্ডো অভিযানের আগে রাতেই হামলাকারীরা ২০ বিদেশি জিম্মিকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে। অভিযানে নিহত হয় ছয় হামলাকারী।
কমান্ডো অভিযানে থাকা সামরিক বাহিনী শুধু বিদেশিদের তথ্য জানালেও বাংলাদেশি তিনজনও নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বলে তাদের পরিবার দাবি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেছিলেন, মৃতদেহগুলোকে প্রচলিত নিয়ম মেনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে।
এরপর দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে লাশগুলা ক্যাফে থেকে বের করে লনে রাখতে দেখা যায় বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
এরপর ১৩টি অ্যাম্বুলেন্স লাশগুলো ক্যাফে প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে যায়।
অ্যাম্বুলেন্স চলে যাওয়ার পর ডিএমপির উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেখানে ঘটনা ঘটেছে ওই জায়গাটি কর্ডন করে রাখা হবে।
“বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখবেন, জায়গাটি নিরাপদ রয়েছে কি না? সেখান থেকে এভিডেন্স সংগ্রহের কাজ করা হবে।”
ক্যাফেটিতে না ঢুকতেও সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কূটনীতিকপাড়া গুলশানের লেকের ধারে এই ক্যাফেটির খোলামেলা পরিবেশ বিদেশিদের কাছে বেশ প্রিয় ছিল।
শুক্রবার জঙ্গিরা হানা দেওয়ার সময় ওই রেস্তোরাঁটিতে অনেক বিদেশি ছিলেন। এর মধ্যে দুই শ্রীলঙ্কান ও এক জাপানি বেঁচে যান।