গুলশানে জিম্মি সঙ্কট: ‘পাশে থাকবে’ জাপান

ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের একটি ক্যাফেতে বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে বন্দুকধারীরা জিম্মি করার প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান।

এস এম নাদিম মাহমুদ, জাপান থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2016, 03:37 AM
Updated : 2 July 2016, 03:37 AM

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলশানের ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি আশা করছেন এই সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার সম্ভাব্য সব কিছুই করবে।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় একদল বন্দুকধারী। তাদের মোকাবেলায় গিয়ে নিহত হন দুজন পুলিশ কর্মকর্তা, আহত হন কয়েকজন।

বন্দুকধারীরা ভেতরে বিদেশিসহ অন্তত ২০ জনকে জিম্মি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান। সকালে কমান্ডো অভিযানে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলেও ভেতরের পরিস্থিতি নিয়ে স্পষ্ট ভাষ্য পাওয়া যায়নি।  

জিম্মিদের মধ্যে কয়েকজন জাপানি রয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে খবর আসার পর শনিবার পূর্ব নির্ধারিত হোক্কাইদো প্রদেশে সফর বাতিল করে টোকিওতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী আবে।

তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি জাপানিদের জীবিত উদ্ধারে ইতোমধ্যে ঢাকাস্থ দূতাবাসে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তা মোকাবেলা করতে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”

আরেক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়াশুদা সুগা বলেন, “আমরা নিশ্চিত হয়েছি, বেশ কয়েকজন জাপানিকে জিম্মি করেছে সন্ত্রাসীরা। আমরা এই বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছি।

জাপানে সাম্প্রতিক সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শিনজো আবে (ফাইল ছবি)

“ইতোমধ্যে ঢাকা দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাপান থেকে একটি প্রতিনিধি দল প্রেরণ করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, বাংলাদেশ সরকার উগ্রপন্থিদের দমনে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে ইন্টারনেটে বার্তা দিয়েছে বলে সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ জানিয়েছে। তবে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতার খবর বাংলাদেশ সরকার নাকচ করে আসছে।  

বাংলাদেশকে জাপানের অন্যতম বন্ধু উল্লেখ করে সুগা বলেন, দেশটির এই সঙ্কট মোকাবেলায় জাপান সব সময় পাশে থাকবে।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই ঘটনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।

৯০৬ জন জাপানি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি।