মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আধুনিকায়ন হচ্ছে

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ মাদক চোরাচালানিদের ধরতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আধুনিকায়নের উপর জোর দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2016, 12:11 PM
Updated : 30 June 2016, 12:11 PM

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ইয়াবা পাচারকারীসহ অন্যান্য মাদক অপরাধীরা গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত কৌশল পরিবর্তন করছে।

“আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তাদের কৌশল ধরা পড়লে পরবর্তীতে তারা নতুন কৌশল ব্যবহার করছে এবং মাদক চোরাচালানে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে।”

সারাবিশ্বেই মাদক ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “এদেরকে মোকাবেলা করতে হলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আধুনিক প্রযুক্তিতে আপডেট রাখার কোনো বিকল্প নেই।”

মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, এজন্য মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ঢেলে ‍সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সরকারি দলের বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সুনির্দিষ্ট হওয়ায় বিদেশি ট্রলার, নৌকা ও মঝিদের বাংলাদেশের জলসীমা ও সুন্দরবনের শেষ সীমানার মধ্যে ঢুকে মাছ শিকারের সুযোগ নেই।

৯১০ জনের ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ

বাংলাদেশে আসা ৯১০ জন বিদেশির ভিসার মেয়াদ পেরিয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল।

বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বৈধ বিদেশি নাগরিক ১ লাখ ১১ হাজার ৫৭৫ জন জানিয়ে তিনি বলেন, ৯১০ জন বিদেশি নাগরিকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। অবৈধ বিদেশিদের শনাক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ২০ হাজার ৬৫৬ জন ভারতীয় অবস্থান করছেন। প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকরা এদেশে বিনিয়োগকারী, বিভিন্ন সংস্থা/কারখানা ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং বিদ্যুত খাতে কর্মরত।

এছাড়া কিছু ভারতীয় নাগরিক চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বরে জানান মন্ত্রী।